Sylhet Today 24 PRINT

ভূমধ্যসাগর নৌকায় পাড়ি দেয়া শরণার্থীর শীর্ষে বাংলাদেশীরা!

সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক |  ০৭ মে, ২০১৭

নৌকায় চেপে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়া শরণার্থীদের একক দেশ হিসেবে সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাককে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে অবস্থান করছে।

এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পাড়ি জমায় এই শরণার্থীরা। এরপর ইতালিতে পৌঁছতে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ভাসায় তারা।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তা ফ্লাভিও দি গিয়াকোমো জানান, "গত বছর মার্চ নাগাদ তিন মাসে ইতালিতে ঢোকা বাংলাদেশীর সংখ্যা ছিল একজন। এ বছর একই সময়ে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৮৩১ জনে।"

ইউরোপীয় ইউনিয়ন শরণার্থীদের ঢল সামলাতে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তির পর আজিয়ান সাগরের রুটটি দিয়ে অনুপ্রবেশ কমে যায়। কিন্তু ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালিতে পাড়ি জমানো বেড়ে যায়। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে ঢোকার অবৈধ পথটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে নৌকাডুবিসহ নানা কারণে এ বছর সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইতালিতে যেতে নৌকায় ওঠার আগে বাংলাদেশ থেকে দুবাই কিংবা তুরস্ক হয়ে লিবিয়ার মাটিতে এসব শরণার্থীদের পৌঁছানো হয় বিমানে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের লিবিয়া বিষয়ক গবেষক হানান সালেহ তা অস্বীকার করে বলেন, "আমার জানা মতে দুবাই থেকে ত্রিপলির (লিবিয়ার রাজধানী) কোনো সরাসরি ফ্লাইট নেই। দুবাই থেকে তিউনিস হয়ে আসতে হয়।"

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক নিকোলাস ম্যাকগিহান ইন্ডিপেন্ডেন্টকে জানান, "ঢাকা থেকে দুবাই পর্যন্ত রুটটিতে অসাধু জনশক্তি রফতানিকারকদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। তারা অনেক যুবকের কাছে স্বপ্ন বিক্রি করে, কিন্তু সেই যুবকদের স্বপ্ন বেশিরভাগ সময় ভেঙে খান খান হয়ে যায়।"

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দি রয়্যাল ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের গবেষক গ্যারেথ প্রাইস বলেন, "মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরাও বাংলাদেশ হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি দেয়ার পর দলটির অনেকে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাচ্ছেন। ইউরোপ সেক্ষেত্রে ভালো গন্তব্য।"

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.