Sylhet Today 24 PRINT

রাম রহিমের ডেরায় মিললো কনডম, গর্ভনিরোধক বড়ি, অশ্লীল সিডি

অনলাইন ডেস্ক |  ৩১ আগস্ট, ২০১৭

ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের গোপন আস্তানায় মিলছে প্রচুর পরিমাণে কনডম, গর্ভনিরোধক বড়ি, অশ্লীল সিডি, ভিডিও এমনকি সেক্স টনিকও।

 প্রায় ১৫ বছর আগে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলার ঘটনায় সোমবার। ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। এরপরই অভিযান চালিয়ে ওইসব বস্তু উদ্ধার করা হয়।

রাম রহিমের ভাণ্ডারে লেক্সাস, রেঞ্জ রোভারের মতো বিলাসবহুল গাড়ির সংখ্যা একাধিক। বিশাল বিশাল ঘরের অধিকাংশ জায়গাই খাঁটি সোনায় মোড়া। এখান থেকেই রাজকীয় হালে নিজের সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত গুরমিত।

এরই মধ্যে রাম রহিমের পালিত মেয়ে হানিপ্রীত ইনসানকে জড়িয়েও অবাক হওয়ার মতো অনেক তথ্যই এসেছে। শুধু হানিপ্রীতের সঙ্গেই নয় ডেরার অসংখ্য নারীর সঙ্গে ছিল তার শারীরিক সম্পর্ক।

 ২০০২ সালে রাম রহিমের এক সাবেক নারী অনুসারী একটি মামলা করেছিলেন। ওই নারীর অভিযোগ, হরিয়ানার শহর সিরসায় দেরা সাচা সৌদা গোষ্ঠীর প্রধান কার্যালয়ে রাম রহিম তার ওপর যৌন নির্যাতন করেন। এ মামলার পর রাম রহিমের অজস্র অনুসারী ক্ষোভে উন্মত্ত হয়ে উঠেছিলেন।

১০ বছর ধরে প্রায় ২০০টি শুনানির পর এ মামলার রায় দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে অসংখ্যবার উচ্চ আদালত এ মামলার বিচারকাজে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

সম্প্রতি নিউজ এইটটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মামলার প্রধান তদন্তকারী সিবিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি এম নারায়ণন নানা বিষয় সামনে এনেছেন। কীভাবে ডেরার ভিতর অসামাজিক কাজকর্ম চালাতেন গুরুজি তাও সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি।

ইন্ডিয়াটাইমস বলছে, নিজের মতো করে ডেরায় পরিবেশ সাজিয়েছিলেন রাম রহিম। কেমন ছিল সেই পরিবেশ? বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে সে তথ্য জোগার করেছিলেন নারায়ণন।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, নিজের গোপন গুহায় সুন্দরী অল্পবয়সী সাধ্বীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন বাবা। তার ব্যক্তিগত পরিচর্যার দায়িত্বে থাকতেন এই সাধ্বীরাই। কিন্তু অনেক সময় তাতেও মন ভরত না বাবার। ঠিক রাত ১০টার সময় ফোন যেত প্রধান সাধ্বীর কাছে। ‘আবদার’ থাকত নতুন তরুণী সাধ্বী পাঠানোর।

নারায়ণন জানিয়েছেন, ডেরার সকলেই জানত এ বিষয়ে। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতেন না কেউ। সাক্ষাৎকারে নারায়ণন জানিয়েছেন, সামাজিক কাজকর্মের আড়ালে স্বেচ্ছাচার চালাতেন ভণ্ড বাবা। নারায়ণনের কথায়, ও মানসিক রোগগ্রস্ত। জন্তু ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।

ধর্ষণ মামলায় গুরমিতের জেল হওয়ার পর তল্লাশি চালানো হয় তার ডেরায়। সেখান থেকে ১৮ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের উপরেও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না, তা জানার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

নারায়ণন জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে শুধুমাত্র যৌন নির্যাতনের কারণেই ডেরা ছেড়ে গিয়েছিলেন দুই শতাধিক নারী। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ১০ জনকে খুঁজে পেয়েছে সিবিআই।তাঁদের মধ্যেও মাত্র দু’জন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বাকিরা মুখ খুলতে চাননি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.