সিলেটটুডে ডেস্ক | ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ তালেবান সদস্যকে খালাস দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দেশটির সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মুশাররফকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডির বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী আদালত প্রমাণের অভাবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সন্দেহভাজন ওই সদস্যদের খালাস দিয়েছে। তবে বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদেরকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী সমবেশের পর পরই বন্দুক ও বোমা হামলায় নিহত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। পারভেজ মুশাররফ সে সময় ক্ষমতায় ছিলেন।
হত্যার ঘটনা তদন্তে তখন মুশাররফকে দোষী করা হয়। বলা হয়, মুশাররফ সরকার বেনজিরের অনুরোধ সত্ত্বেও তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি। বিষয়টি নিয়ে ২০১৩ সালে মুশাররফের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
২০১৬ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে মুশাররফ পাকিস্তান ত্যাগ করার পর থেকে তিনি এখনও স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন। তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিচার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ ছিল। এখন মামলার রায়ে মুশাররফ ‘পলাতক’ ঘোষিত হওয়ায় তিনি দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তার হতে হবে এবং বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আদালতের দেওয়া রায়ের ব্যাপারে মুশাররফ কোনো মন্তব্য করেননি এবং হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন। মুশাররফ সরকার বেনজির হত্যার জন্য পাকিস্তান তালেবান প্রধান বাইতুল্লাহ মেহসুদকে দায়ী করেছিল। তবে মেহসুদ হত্যায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় মেহসুদ নিহত হন।
বেনজির হত্যা মামলায় আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তার মেয়ে আসিফা জারদারি এক টুইটে লিখেছেন, “মুশাররফ তার অপরাধের কৈফিয়ত না দেওয়া পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না।”
ওদিকে, রায়ে তালেবান জঙ্গিদের খালাস পাওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) বিশেষ কৌঁসুলি খাজা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
খালাস পাওয়া পাঁচজন হচ্ছেন, রাফাকাত হুসেইন, হুসনায়েন গুল, শের জামান, ইজাজ শাহ এবং আব্দুল রশীদ। তাদের তিনজনই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সহায়তা করার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল বলে সাংবাদিকদের জানান ইমতিয়াজ।