Sylhet Today 24 PRINT

মুসলিমরা কেন পালাচ্ছে, তা খুঁজব: সু চি

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি বলেছেন, রাখাইন থেকে মুসলমানদের পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে তারা (সরকার) উদ্বিগ্ন। তারা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সু চি এ কথা বলেন। তার ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মিয়ানমারের রাখাইনে সবশেষ সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেন সু চি। রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটে এত দিন নীরব থাকায় সমালোচিত হচ্ছিলেন সু চি।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী তার ভাষণে বলেন, রাখাইন সহিংসতায় সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করেন তিনি।

সু চি বলেন, ‘রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’

বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সত্যাসত্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া যেকোনো সময় শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানান সু চি।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’

এনএলডি নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’

অন্যকে দোষারোপ করা বা দায়িত্ব এড়ানো মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে সু চি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই।’

রাখাইন সংকট প্রসঙ্গে সু চি বলেন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। তাদের সব কথাই শুনতে হবে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযোগগুলো যে তথ্য-প্রমাণনির্ভর, তা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইন পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তার সরকার কাজ করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ভীত নয় বলে উল্লেখ করেন সু চি। তিনি বলেন, মিয়ানমার একটি নবীন ও ভঙ্গুর দেশ। তাঁরা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করছেন। সব সমস্যাই মোকাবিলা করতে হবে। কিছু সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।

তিনি বলেন, “যে শরণার্থীরা মিয়ানমারে ফিরতে চায়, ওই চুক্তির আওতায় আমরা যে কোনও সময় তাদের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত। আর যে শরণার্থীরা মিয়ানমার থেকে গেছে বলে চিহ্নিত হবে, কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়াই নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়ে আমরা তাদের গ্রহণ করব।”

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.