Sylhet Today 24 PRINT

গৌরী লঙ্কেশ হত্যায় ‘সনাতন সংস্থা’!

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৭ অক্টোবর, ২০১৭

ভারতীয় সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে এবার উঠে এলো ‘সনাতন সংস্থা’ নামে গেরুয়া শিবিরের একটি সংগঠনের নাম। সংস্থার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জন লঙ্কেশ খুনে জড়িত বলে ধারণা করছে কর্ণাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।

তাদের মধ্যে চার জনকে খুঁজছে ইন্টারপোল। এই চারজন ২০০৯ সালে গোয়ার মারগাঁও বিস্ফোরণের সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেঙ্গালুরুর সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন। বাইকে চড়ে আসা আততায়ীরা তাকে গুলি করে খুন করে। গৌরী লঙ্কেশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরাও পড়েছিল। মুখ ঢাকা এক আততায়ী হেলমেট পরে এসেছিল, দেখা গিয়েছিল সিসিটিভি ফুটেজে। খুনের তদন্ত করতে ২১ সদস্যের বিশেষ টিম গড়েছিল কর্ণাটক সরকার।

গত মঙ্গলবার কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গৌরী লঙ্কেশ খুনিদের চিহ্নিত করে ফেলেছেন তদন্তকারীরা। তবে তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা ব্যাহত হতে পারে বলে অভিযুক্তদের নাম সামনে আনতে চাননি তদন্তকারী অফিসারেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় সন্দেহভাজন যে পাঁচ জনের নাম উঠে এসেছে তারা হলো- কোলাপুরের বাসিন্দা প্রবীণ লিমকার (৩৪), ব্যাঙ্গালুরুর জয়প্রকাশ ওরফে অণ্ণা (৪৫), পুণের বাসিন্দা সারাং আকোলকার (৩৮), সাঙ্গলির রুদ্র পাতিল (৩৭) এবং সাতারার বাসিন্দা বিনয় পওয়ার।

সিবিআই তদন্তে এর আগে অন্য মামলাতেও উঠে এসেছিল রুদ্র পাতিল, সারাং আকোলকার এবং বিনয় পওয়ারের নাম। ২০১৩ সালের ২০ আগস্ট, মহারাষ্ট্রের যুক্তিবাদী নেতা নরেন্দ্র দাভোলকর খুনে ওই তিন জন জড়িত বলে দাবি করে সিবিআই। দাভোলকরের মতোই মহারাষ্ট্রের আর এক যুক্তিবাদী ও বামপন্থী নেতা গোবিন্দ পানসারে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খুন হন।

আগস্টে খুন হন কর্ণাটকের যুক্তিবাদী লেখক এম এম কালবুর্গী। মহারাষ্ট্র সিট সূত্রে খবর, পানসারে এবং কালবুর্গী খুনেও ওই তিন জনের যোগসূত্র রয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। পরে ঘটনাস্থানেই তার মৃত্যু হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.