Sylhet Today 24 PRINT

গুয়াতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ০৫ জুন, ২০১৮

গুয়াতেমালায় গত রোববার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ হয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা কনরেড এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, আগ্নেয়গিরিটি রাজধানী গুয়াতেমালা সিটি থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এ ঘটনায় প্রায় দুই হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে ওই এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আগ্নেয়গিরির একটি লাভা স্রোত এল রডিও গ্রামে গিয়ে পৌঁছে। এতে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। মানুষ পুড়ে মারা যায়। ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সোমবার সকালে নতুন করে উদ্গিরণ শুরু হয়। আরও অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয়বার উদগিরণের ঘটনায় নতুন করে লোকজন মারা গেছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। নতুনভাবে উদ্গিরণ শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়।

একজন উদ্ধারকারী বলেন, ‘দ্রুত এলাকা খালি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই পালাচ্ছি। আমরা মৃতদেহ উদ্ধারে কাজ করছিলাম। কাজ শুরুর আগে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপে অনেকের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে বলে পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, ছাই ও পাথর উদ্গিরণের ফলে দেশটির বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আকাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাই ছড়িয়ে পড়ে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তথ্য অনুযায়ী, ১২ হাজার ৩৪৬ ফুট উচ্চতা থেকে এ উদ্গিরণ ঘটে। চলতি বছর এটি দ্বিতীয় উদ্গিরণের ঘটনা। এখান থেকে ধোঁয়া ও কালো ছাই নির্গত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই অঞ্চলের অনেক অবকাঠামো ও কফি খেতের ক্ষতি হয়েছে।

গুয়াতেমালায় সান্তিয়াগোতি (পশ্চিম) ও প্যাকায়া নামের আরও দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।

এ ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.