Sylhet Today 24 PRINT

গুয়েতেমালার অগ্ন্যুৎপাতে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ০৮ জুন, ২০১৮

গুয়েতেমালার ফুয়েগো নামের অগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে। অগ্নেয়গিরি থেকে বের হতে থাকা ছাইয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় উদ্ধারকাজ সাময়িক স্থগিত কর‍া হয়।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা কনরেডের মুখপাত্র ডেভিড দে লিওন স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে দূরে থাকতে বলেন।

জানায় যায়, কনরেডের সঙ্গে অগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞদলের মধ্যকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে।

গুয়েতেমালার দুর্যোগ ও ফরেনসিক  সংস্থা ইনাসিফ বলছে, ‘ফুয়েগো’ অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। চার দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ এ অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা এখন ১০৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

গুয়েতেমালার পাবলিক প্রসিকিউটর বৃহস্পতিবার (৭ জুন) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রোটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করা হবে।

এদিকে অগ্নেয়গিরি থেকে বিপুল পরিমাণ ছাই নিকটবর্তী শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা লাভা ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন এলাকাগুলো থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ৩ জুন গুয়েতেমালার রাজধানীর ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুয়েগো নামের এই আগ্নেয়গিরিটি জেগে উঠে। চারদিক ছড়িয়ে পড়তে থাকে ছাই। রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এই আগ্নেয়গিরির লাভা-ছাইয়ে আক্রান্ত হতে থাকে বারানকাস দে সেনিজাস, মিনারেল, সেকা, তানিলুয়া, লাস লাজাস, বারানকা হোন্ডাসহ অনেক জনপদ।

জানা যায়, এই আগ্নেয়গিরিতে সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে অগ্ন্যুৎপাত হয়। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে এর লাভা-ছাই ছড়াতে থাকে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.