Sylhet Today 24 PRINT

পা দিয়ে নারীর শরীর স্পর্শ করে কারাগারে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

স্বঘোষিত একজন ‘গুরু’ যিনি পা দিয়ে নারীদের স্তন স্পর্শ করতেন, তাকে যৌন হয়রানির দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ভক্তরা যখন আচার অনুষ্ঠানের জন্য ওই গুরুর কাছে যেতেন তখন তারা সেই 'গুরু'র শরীর ম্যাসাজ করে দিতেন। আর তখনই মেয়েদের ওপর এভাবে চড়াও হতেন মোহানিয়াল রজনী নামের ওই 'গুরু', যিনি নিজেকে 'দেবতা' বলেও দাবি করতেন।

৭৬ বছর বয়সী এই 'গুরু'কে সাড়ে তিনবছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালত।

হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মোহানিয়াল রজনী নিজেকে 'দেবতা' বলে দাবি করতেন এবং নারীদের নিজেদেরকে তার কাছে উৎসর্গ করার কথা বলতেন। তবে শুধু পা দিয়েই নয়, তিনি হাত দিয়েও মেয়েদের শরীরের ব্যক্তিগত অংশ স্পর্শ করার মাধ্যমে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন। এমন কাণ্ডকে দাবি করেছেন মহিলাদের জন্য 'আশীর্বাদ' বা 'পবিত্রতা অর্জন' হিসেবে।

যুক্তরাজ্যের লেস্টার ক্রাউন কোর্ট-এর বিচারক রবার্ট ব্রাউন এই ধরনের যৌন হয়রানিকে 'বিশ্বাসের গুরুতর লঙ্ঘন' বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি মনে করেন, 'এই ধরনের হামলার ফলে প্রত্যেকেই যে মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন, সেটা আশ্চর্যজনক নয়।'

রজনী চার ধরনের যৌন হামলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এর আগে। তার শরীর ম্যাসাজ করার সময় দুইজন নারীর স্তন তিনি অন্তত দশবার নিজের পা দিয়ে স্পর্শ করেন বলে স্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে হাতও ব্যবহার করেছেন। ওই নারীদের আত্মীয়দের তিনি বলেন, সে তাদের 'গুরু' এবং এর ফলে তারা 'পবিত্রতা' লাভ করেছে।

প্রসিকিউটর এস্থার হ্যারিসন বলেন, রজনী জনসম্মুখে কখনো নিজেকে গুরু বলে দাবি করেননি কিংবা নিজের পরিবারের কাছেও না। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায় এবং নিজেকে সে শুধু 'গুরু' নয়, 'দেবতা' বলেও ঘোষণা করে।

প্রসিকিউটর হ্যারিসন বলেন, নারীরা প্রতি সপ্তাহে 'ছোটোখাটো, ঘনিষ্ঠ জমায়েত'-এর উদ্দেশ্যে মোহালিয়ান রজনীর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন। সেখানে তারা তাকে বিভিন্ন রকম সেবা দিতেন।

তিনি বলেন, যখন তারা সেবা করতো তখন সে (রজনী) একটি বিছানার ওপর শুয়ে পড়তো। সাধারণত চার কিংবা পাঁচজন তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ম্যাসাজ করতো। সেখানে ওই নারীদের শাড়ি পরে আসার নির্দেশনা ছিল।

পরে তার বিরুদ্ধে যৌন হামলার অভিযোগ আনা হলে রজনী নিজের সাফাই গেয়ে দাবি করেন, ওই নারীরা তাদের মনের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই দেবতাকে সমর্পণ করেছিল কি-না সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হতো স্পর্শ করার মাধ্যমে। এতে তার অনুগতরা 'পরিশুদ্ধতা' পাবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.