Sylhet Today 24 PRINT

থাইল্যান্ডে ঝড়ে নিহত ১, অন্ধকারে দুই লাখ মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝড় 'পাবুকের' আঘাতে প্লাবিত থাইল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূল। বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরো অঞ্চলের প্রায় দুই লাখ মানুষ অন্ধকারে রয়েছেন।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) এ ঝড়ের আঘাতে নাগাদ ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। উড়োজাহাজ ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই অঞ্চলের তিনটি পর্যটন দ্বীপে আটকা পড়েছেন পর্যটকেরা।

এএফপির খবরে জানানো হয়, শুক্রবার ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে পাবুক আঘাত হানে। এর প্রভাবে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ভারী বৃষ্টি হয়। ব্যাপক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা। সেই থেকে গোটা অঞ্চল বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে।

দক্ষিণের পাত্তানি প্রদেশে ঝড়ের সময় প্রবল ঢেউয়ে নৌকা ডুবে এক মৎস্যজীবী নিহত হয়েছেন। আরেকজন নিখোঁজ রয়েছেন।

পর্যটন দ্বীপ কোহ সামুই, কোহ ফাংয়ান ও কোহ তাওয়ে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আটকা পড়েছেন। ২৪ ঘণ্টা ধরে ভারী বর্ষণের কারণে ফেরি চলাচল ও বিমানবন্দর বন্ধ আছে।

কোহ সামুই জেলার প্রধান কিত্তিপপ রদ্দন বলেন, ‘দ্বীপে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। আজ সূর্যের দেখা মিলেছে। আজ ফেরি ও উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হবে। ফলে পর্যটকেরা আজ থেকে এলাকা ছাড়তে পারবেন।’

তবে সমুদ্রে সাঁতার কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।

কোহ ফাংয়ানের জেলা প্রধান কৃকরাই সংথানি বলেন, ‘ঝড় শেষ। ১০ হাজার পর্যটকের সবাই ভালো আছে।’

তবে সেখানে অবস্থান করা পর্যটকেরা দ্রুত ওই এলাকা ছাড়তে চাইছেন। আজ থেকে সীমিত পরিসরে যান চলাচল শুরু হচ্ছে। এর ফলে পর্যটকদের দ্বীপ ছাড়ার সুযোগ বাড়ল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.