Sylhet Today 24 PRINT

মিয়ানমারে রয়টার্সের ২ সাংবাদিকের সাজা আপিলেও বহাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারে কারাদণ্ড প্রাপ্ত রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) রায়ে দেশের হাই কোর্টের বিচারক অং নাইং বলেন, "নিজেদের নির্দোষ দাবির পক্ষে তারা যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা তাদের জন্য উপযুক্ত শাস্তি।"

“দুই সাংবাদিক ‘জার্নালিস্টিক ইথিকস’ মেনে চলেননি। এমনকি পুলিশ যে তাদের ফাঁদে ফেলে গ্রেপ্তার করেছে সে বিষয়টিও আদালত নিশ্চিত হতে পারেনি।”

এই রায়ের বিপক্ষে তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

গত বছর সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের একটি নিম্ম আদালত দুই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ওর (২৮) কে দোষীসাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।

ইয়াংগনের জেলা জজ আদালতের ওই রায়ের পর বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন মিয়ানমারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

শুক্রবারের রায়ের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টেফেন এক বিবৃতিতে বলেন, “ওয়া লোন ও কিয়াও সো ওর উপর যেসব নিপীড়ন চালানো হচ্ছে আজকের রায় সেসব অন্যায়ের একটি। তারা এখনও গরাদের পেছনে থাকার একটাই কারণ: যারা ক্ষমতায় আছে তারা সত্যের মুখ বন্ধ করতে চাইছে।”

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “সংবাদ সংগ্রহ করা অপরাধ নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমার এই ভয়ঙ্কর ভুল শুধরে না নেবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটিতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা আসবে না। মিয়ানমার আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র চর্চার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা নিয়েও সন্দেহ থেকে যাবে।”

গত মাসে আপিল আবেদনের শুনানিতে দুই সংবাদিকের আইনজীবীরা তাদের কাছে পুলিশের ফাঁদ পাতার প্রমাণ থাকার এবং তাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে অপরাধের পর্যন্ত প্রমাণ না থাকার দাবি করেন।

নিম্ন আদালত এই মামলা ভুলভাবে উপস্থাপন করে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের দায় দুই সাংবাদিকের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং তা মিয়ানমারের শত্রুদের কাছে পাচার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।”

সরকার পক্ষে আইনজীবী খিনে খিনে সোয়ে বলেন, "আপিলের শুনানির সময় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গোপন নথি সংগ্রহ এবং তা নিজেদের কাছে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে।"

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.