সিলেটটুডে ডেস্ক | ২১ মার্চ, ২০১৯
ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলার ঘটনায় বর্ণবাদী ভাবাদর্শের শিকড় উপড়ে ফেলার জন্য বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আর্ডার্ন বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। অভিবাসী বাড়ার কারণে বর্ণবাদ বাড়ছে এমন ধারণাও প্রত্যাখ্যান করেছেন আর্ডার্ন।
ডানপন্থি জাতীয়তাবাদের বিকাশ নিয়ে তিনি বলেন, অস্ট্রেলীয় নাগরিক ঘটনাটি ঘটালেও নিউজিল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিককে অপমান করে এমন আদর্শ যে এখানেও নেই তা বলতে পারছি না আমি।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে জুমার নামাজের সময় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার দায়ে শ্বেতাঙ্গ অস্ট্রেলীয় ব্রেন্টন ট্যারান্টের (২৮) বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আর্ডার্ন বলেন, যেখানে এ ভাবাদর্শ আছে তা নির্মূল করা এবং এ জাতীয়তাবাদ ও উগ্রবাদ বাড়ার মতো কোনো পরিবেশ যেন আমরা সৃষ্টি না করি সেটিও নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ সময় তিনি বিশ্ববাসীকে এ লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
শরণার্থীদের গ্রহণ করায় নিউজিল্যান্ডের নীতির পক্ষ সমর্থনে আর্ডার্ন বলেন, আমরা সবাইকে স্বাগত জানানোর দেশ।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত ৫০ জনের মধ্যে দুজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। বুধবার জানাজার পর ক্রাইস্টচার্চে শতাধিক ব্যক্তির নীরব উপস্থিতিতে মেমোরিয়াল পার্কে তাদের কবর দেওয়া হয়।
এরা হলেন, ৪৪ বছর বয়সী খালেদ মোস্তফা ও তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে হামজা।
জানাজা ও দাফনের সময় সেখানে কয়েকশ লোক উপস্থিত ছিলেন। টুপি পরা পুরুষদের পাশাপাশি সালোয়ার, কামিজ ও হিজাব পরা অনেক নারীও ছিলেন।
এই শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য অকল্যান্ড থেকে ক্রাইস্টচার্চে আসা গুলশাদ আলি বলেন, লাশ কবরে শুইয়ে রাখা হচ্ছে, আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি, খুব কষ্ট হচ্ছে।