Sylhet Today 24 PRINT

নিউজিল্যান্ডে সিলেটের পারভীনসহ দুই বাংলাদেশির দাফন সম্পন্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ২২ মার্চ, ২০১৯

গেল শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহত সিলেটের হুসনে আরা পারভীন (৪২) সহ ২ জন বাংলাদেশীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। একই সাথে এ ঘটনায় নিহত আরো ২৪ ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে মসজিদে হামলায় নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় একটি মসজিদে। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।

এক সপ্তাহ আগে ওই স্থানে দুটি মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর নৃশংস হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন বাংলাদেশী। তাদের প্রত্যেকেরই জানাজা একই সাথে সম্পন্ন হলেও দুই জনের দাফন নিউ জিল্যান্ডের মাটিতেই করা হয়।

দাফন করা দুই বাংলাদেশী হলেন, ড. আব্দুস সামাদ ও হুসনে আরা পারভীন। নিহত বাকি তিনজনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভুঁইয়া।

শুক্রবার (২২ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কে জুমার নামাজের সময় মুসলমানরা প্রার্থনা করেন। এতে অংশ নেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডার্নসহ হাজারো নিউজিল্যান্ডবাসী।

মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে সম্প্রীতির এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেন নিউজিল্যান্ডের অন্য ধর্মের মানুষ। কিউই নারীরা মাথায় হিজাব পরে মুসলিমদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

শুক্রবার জুমার নামাজের ঘণ্টাখানেক পরেই স্থানীয় একটি মুসলিম কবরস্থানে নিহতদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। দাফন করা হয় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকারদের মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্র তিন বছর বয়সী মুকাদ ইব্রাহিমকেও।

শোকাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনদের চিরবিদায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার এক কর্মকর্তা জানান, নিউজিল্যান্ডে মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীর হামলার পর তাদের দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তাদের ‘তদন্ত এবং চাপ’ বাড়িয়েছে।

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান নির্বাহী মাইক পেজুল্লো জানান, গত সপ্তাহে ক্রাইস্টচার্চ দুই মসজিদে হামলায় ৫০ ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিষয়ে তদন্তে নিউজিল্যান্ডকে সহায়তা করছে অস্ট্রেলিয়ান সংস্থাগুলো।

ব্রেন্টন ট্যারান্ট এক ইশতেহারে প্রকাশ করেছে, সাদারাই শ্রেষ্ঠ এমন উগ্র মনোভাব থেকে সে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে। সে তার হেলমেটে স্থাপিত ক্যামেরার মাধ্যমে হামলাটি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারও করে।

পেজুল্লো বলেন, তাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বিভাগ দৃঢ়ভাবে সাদা শ্রেষ্ঠবাদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে আল নূর মসজিদের বিপরীতে হ্যাগলি পার্কে জনসাধারণের সঙ্গে সমবেত হয়ে মুসলমানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডার্ন বলেন, ‘পুরো নিউজিল্যান্ড আপনাদের সঙ্গে শোকাহত। আমরা সবাই এক।’

এসময় টেলিভিশন ও রেডিওতে অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখেন নিউজিল্যান্ডের হাজার হাজার মানুষ। দেশটির রাষ্ট্রীয় রেডিও ও টেলিভিশনে জুমার আযান প্রচার করা হয়। প্রার্থনা শেষে হামলায় নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.