Sylhet Today 24 PRINT

শ্রীলঙ্কায় অভিযানে জাহরানের ‘বাবা-ভাই’ নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ২৮ এপ্রিল, ২০১৯

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে বোমা হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হোতা জাহরান হাশিমের বাবা ও দুই ভাই নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পূর্ব উপকূলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১৫ জনের মধ্যে এ তিন ব্যক্তিও রয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) পুলিশ ও হাশিমের এক আত্মীয়কে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা এবং চারটি হোটেলসহ আটটি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়।

দেশটির সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫৩ জন। ওই হামলার সন্দেহভাজন মূল হোতা জাহরান হাশিম মোহাম্মদ। তাওহীদ জামাত বা এনটিজে নামে পরিচিত স্থানীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা তিনি। শ্রীলঙ্কা সরকারের সন্দেহ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এনটিজে-ই রোববারের সিরিজ হামলা চালিয়েছে।

আইএস-এর পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে, বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে হাশিমের পরিকল্পনা মাফিক ওই হামলা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইস্টার সানডেতে হোটেল সাংগ্রি-লাতে যে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়েছে তাতে জাহরান হাশিম মারা গেছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলে সন্দেহভাজনদের গোপন আস্তানা সন্দেহে তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সে সময় এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫
জন নিহত হয়।পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজনকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে। ওই ভিডিওতে দুই ভাই জাইনি হাশিম, রিলওয়ান হাশিম ও তাদের বাবা মোহাম্মদ হাশিমকে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে দেখা যায়। তবে তা কোন সময়ে ধারণ করা তা জানা যায়নি। ভিডিওতে রিলওয়ান হাশিম সর্বত্র ‘জিহাদ’ অথবা ‘পবিত্র যুদ্ধ’র ডাক দিয়েছে। আর পর্দার আড়াল থেকে শিশুদের কান্নার শব্দ শোনা গেছে সেখানে।

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বিস্ফোরণের মূল হোতা জাহরান হাশিমের ভগ্নিপতি নিয়াজ শরিফ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই তিন ব্যক্তি হাশিমের বাবা ও ভাই।

ভিডিওতে ভাই ও বাবার পাশে বসে থাকা রিলওয়ান বলতে শোনা যায়, ‘এ ভূমির সুরক্ষায় এসব অবিশ্বাসীকে আমরা ধ্বংস করব। এর জন্য আমাদেরকে জিহাদ করতে হবে। যে অবিশ্বাসীরা মুসলিমদের ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাদেরকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে আমাদের।’

প্রসঙ্গত, ২১ এপ্রিলের ওই সিরিজ বিস্ফোরণের পর থেকে শ্রীলঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। দেশজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার সেনা সদস্য। হামলায় জড়িত থাকা সন্দেহে স্থানীয় দুইটি উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠনের সদস্যদের আটক করতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে সিরিয়া ও মিশরের নাগরিকসহ শতাধিক মানুষকে আটক করেছে শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.