Sylhet Today 24 PRINT

অস্ত্র আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বুঝেন না নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ১৫ মে, ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রে বারবারই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটলেও যুক্তরাষ্ট্র কেন এখনও কঠোর অস্ত্র আইন তৈরি করছে না তা কিছুতেই ‘বোধগম্য নয়’ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া হামলার শিকার হয়ে আইন পরিবর্তন করেছে। নিউজিল্যান্ড অভিজ্ঞতা থেকে আইন পরিবর্তন করেছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারটা আমি বুঝি না।’

যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। এ নিয়ে প্রায় সময় বিদ্যমান অস্ত্র আইন এবং অস্ত্র বিক্রেতা ও রাজনীতিকদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

নির্বিচার গুলির ঘটনা রুখতে শিক্ষকদের কাছে অস্ত্র রাখার প্রস্তাবের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী অস্ত্র সমর্থক গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)।

অন্যদিকে ১৫ মার্চ ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নুর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মানুষ। হামলা চালাতে একটি এআর-১৫-সহ কয়েকটি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ব্যবহার করেছিল ট্যারান্ট।

এ ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। অন্য অস্ত্রকে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে পরিণত করতে যেসব যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলোও নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানান তিনি। ঘোষণা দেন বিদ্যমান অস্ত্র আইন পরিবর্তনের। এরই ধারাবাহিকতায় নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে পাস হয় অস্ত্র সংস্কার বিল।

মঙ্গলবার প্যারিসে প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থাগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগে জেসিন্ডা বলেন, নিউজিল্যান্ডে অস্ত্রের ‘বাস্তবিক উদ্দেশ্য’ রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই না যে আপনার কাছে সামরিক বাহিনীর মতো সেমি-অটোমেটিক অস্ত্র কিংবা অ্যাসাল্ট রাইফেল থাকবে।’

বুধবার প্যারিসে ৭ দেশের মন্ত্রিপর্যায়ের প্রযুক্তি বিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দেবে গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও টুইটারের কর্মকর্তারা। সেখানেই অনলাইনে সন্ত্রাসী ও সহিংসতামূলক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরবেন জেসিন্ডা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রাইস্টচার্চ কল’।

জেসিন্ডা বলেন, এই বৈঠক কোনও নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া জন্য নয়। বরং সব কোম্পানিকে একসঙ্গে বসানো। এই সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ থাকবেন না বলে জানা গেছে। তবে জেসিন্ডা জানিয়েছেন জাকারবার্গ এই পরিকল্পনায় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

ক্রাইস্টচার্চ হামলার ১৫ লাখ ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে ফেসবুক। এছাড়া ব্লক করেছে আরও ১২ লাখ।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূলত সহিংস কন্টেন্টের দিকেই নজর থাকবে আমাদের। বাকস্বাধীনতায় কোনও হস্তক্ষেপ করতে চাই না।

তিনি বলেন, যখন বোঝাই যাচ্ছে যে এই হামলা শুধুমাত্র ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তার মানে এর বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন। তাই আমরা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.