Sylhet Today 24 PRINT

এভারেস্টে বাড়ছে মৃত্যু, যা বলছে নেপাল

বিবিসি বাংলা |  ২৮ মে, ২০১৯

নেপালের পর্যটন কর্তৃপক্ষ বলেছে মাউন্ট এভারেস্টে মৃত্যুর জন্য পর্বতারোহীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াকে যেভাবে দায়ী করা হচ্ছে সেটি ঠিক নয়।

পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক দানদু রাজ বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য খারাপ আবহাওয়ার বিষয়টিও দায়ী।

চলতি মওসুমে ১০জন পর্বতারোহীর মৃত্যু কিংবা নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে।

এভারেস্টের চূড়ায় উঠার জায়গাটিতে পর্বতারোহীদের দীর্ঘ সারির যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে শেয়ার করছেন। চলতি মে মাসে রেকর্ড সংখ্যক পর্বতারোহী এভারেস্ট-এর চূড়ায় উঠেছে।

পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বসন্ত মৌসুমে ৩৮১ জন পর্বতারোহী এভারেস্ট-এর চূড়ায় উঠেছে।

যেহেতু ভালো আবহাওয়ার দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে সেজন্য প্রত্যাশার চেয়ে আরও বেশি পর্বতারোহী এখনো সে পথে রয়েছে।

নেপালের এই কর্মকর্তা জানান মৃতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত আটজন।

গত শনিবার এভারেস্ট-এর চূড়ায় উঠার পর ৪৪ বছর বয়সী ব্রিটেনের এক পর্বতারোহী মারা যান।

গত শুক্রবার ৫৬ বছর বয়সী আয়ারল্যান্ডের এক পর্বতারোহী মারা যান। তিনি চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে সেখান থেকে পড়ে যান।

স্থানীয় একজন ট্যুর অপারেটর বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ভারতের এক পর্বতারোহী এভারেস্ট-এর চূড়ায় উঠার পথে প্রায় ১২ ঘণ্টা আটকে থাকেন। কারণ তাঁর সামনে ছিল পর্বতারোহীদের দীর্ঘ সারি। ফলে ক্লান্ত হয়ে এক পর্যায়ে তিনি মারা যান।

পর্বতারোহণে আগ্রহীদের অনুমতি দেবার হার কমানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই আহ্বান জানিয়ে আসছে পরিবেশবাদী বেশ কিছু গ্রুপ।

তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১২ সালেও একজন জার্মান পর্বতারোহীর তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছিল চূড়ায় ওঠার দীর্ঘ সারি।

ভিড় বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের কাছে পর্বতারোহণের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে তাদের সকলের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ যেমন নেই, অনেকেরই আবার সেই শারীরিক সামর্থ্যও নেই।

১৯৯২ সালে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছিলেন মিঃ দুজমোভিত বলছেন যে, এটা যথেষ্টই বিপজ্জনক।

কারণ যারা লাইনের পেছনে অপেক্ষা করতে থাকে, তাদের অক্সিজেনের ঘাটতি হবার সম্ভাবনা থাকে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.