Sylhet Today 24 PRINT

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড পাওয়ার নতুন নিয়ম

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৩ আগস্ট, ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই নিয়মে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য বা গৃহায়ণের জন্য সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বহিরাগতদের গ্রিন কার্ড পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

নতুন নিয়মে নিজেদের ভরণপোষণে সক্ষম এবং ভবিষ্যতে কোনোভাবেই সরকারের বোঝা হয়ে উঠবেন না এমন প্রমাণ দিতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড অথবা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। যেসব অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের আইনি অনুমোদন পেয়েছে তারা এই নীতিমালার আওতাভুক্ত।

গ্রিন কার্ড যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের জন্য বৈধ অনুমোদন। গ্রিন কার্ড পাওয়ার পাঁচ বছর পরে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১০ মাস আগেই জানিয়েছিল এ রকম নীতিমালা চালু হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা কেন কুচিনেলি স্থানীয় সময় গত সোমবার নতুন নিয়ম ঘোষণার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, ‘আমরা চাই এমন মানুষ এ দেশে স্থায়ী বসবাসের জন্য আসুন, যারা নিজেদের খরচ বহন করতে পারে। আগাগোড়াই এই নিয়মের ভিত্তিতে এ দেশে অভিবাসননীতি পরিচালিত হয়েছে।’ ১৫ অক্টোবরের মাঝামাঝি এই নীতিমালা বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি জানান।

যারা ইতিমধ্যে গ্রিন কার্ড পেয়েছেন বা মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে না। তবে তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা যারা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পান সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তাদের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা কার্যকর হবে না।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য, উদ্বাস্তু ও আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এই নীতিমালা কার্যকর হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকে। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার আবেদনকারী নতুন নীতিমালার আওতায় পড়তে পারে।

জানা গেছে, গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেছে—এমন ব্যক্তিদের নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য অন্তত তিন বছরের কর প্রদানের হিসাব ও এই সময়ে চাকরির প্রমাণ দেখাতে হবে। যাদের বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা আছে তাদের ক্ষেত্রে গ্রিন কার্ডের অনুমোদন সহজ হবে।

এদিকে, বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংস্থা জানিয়েছে, তারা এই নীতিমালার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করবে। নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলও জানিয়েছেন, তিনি এই নীতিমালার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। নতুন নীতিমালার ফলে যেসব অভিবাসী বা বহিরাগত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে চিন্তিত নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়রের অফিস থেকে তাদের আইনি সাহায্যের জন্য ৩১১ নম্বরে ফোন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা ফোন করবে তাদের ‘অ্যাকশন নিউইয়র্ক’ কথা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। এতে সঠিক দপ্তরে তাদের প্রশ্ন পাঠানো সহজ হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.