Sylhet Today 24 PRINT

শিশু আয়লান : বিব্রত পশ্চিমা নেতারা, তীর ছুঁড়ছেন একে অন্যের দিকে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক |  ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সাগর পাড়ে মৃত শিশু আয়লানের নিথরদেহের ছবি প্রচারের পর বিশ্বজুড়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে বিব্রত পশ্চিমা নেতারা একে অন্যের দিকে তীর ছুঁড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অভিবাসী ও শরণার্থীদের ঠেকাতে তাদের গৃহীত সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে সমালোচনার হাত থেকে ব্যস্ত হয়ে হয়ে পড়েছেন তারা।

তবে মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সিরিয়া থেকে-স্রোতের মত আসতে থাকা অভিবাসী পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে-তা নিয়ে চরম মতভেদ তৈরি হয়েছে ইউরোপে।

এদিকে শরণার্থী সংকট হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জার্মানিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিবাসী নিয়ে জার্মানির উদার নীতি বিশৃঙ্খলার জন্ম দিচ্ছে। কারণ, ইইউ দেশগুলোতে পৌঁছানো বেশির ভাগ শরণার্থীই জার্মানি যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

আয়লান কুর্দির নিথর দেহের ছবি ব্রিটেন সহ ইউরোপের সব দেশের সংবাদপত্র, টিভিতে ব্যাপক প্রচার পাচ্ছে। এই একটি ছবি যেন চলমান এই শরণার্থী সঙ্কটের ভয়াবহ এবং করুণ চিত্রটি সামনে তুলে ধরেছে।

অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার চেয়ে সংঘাতময় দেশগুলোতে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ এবং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এন্ডা কেনি অভিবাসন সংকট সমাধানে ইউরোপের সব দেশকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী।

ইউরোপে প্রবেশ করা অভিবাসীর সংখ্যা এরই মধ্যে রেকর্ড গড়েছে। কেবল জুলাইয়েই ইউরোপে প্রবেশ করেছে ১ লাখ ৭ হাজার অভিবাসী।

এদিকে, আয়লান কুর্দির পরিবার কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল এবং কানাডা সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে এমন এক আলোচনার প্রেক্ষাপটে সে দেশের কর্তৃপক্ষ কোন আবেদনই তারা পায় নি বলে জানিয়েছে।

দেশটির প্রধান বিরোধী দল এনডিপির এমপি ফিন ডনেলি দাবি করেছেন, তিনি গত মার্চ মাসে আয়লানের পরিবারের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনটি ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর কাছে দিয়েছিলেন। গত জুন মাসে কানাডা ইমিগ্রেশন রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখান করে।

আয়নালের ফুপু তিমা কুর্দি এমপি ফিন ডনেলির নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। তার পরিবারের একজন সদস্যের ইমিগ্রেশনের ব্যাপারে তদবির করার জন্য একটি আবেদনপত্র তার নির্বাচনী এলাকার এমপি ফিন ডনেলির কাছে দিয়েছিলেন।

এমপি ফিন ডনেলি দাবি করেছেন, তিনি হাউজ অব কমনসে ওই চিঠি সরাসরি অভিবাসনমন্ত্রী ক্রিস অ্যালেক্সান্ডারের হাতে দিয়েছেন। ডনেলি চিঠিটির একটি কপিও কানাডার সংবাদপত্র টরন্টো স্টারকে দেন।

টরন্টো স্টার চিঠিটি প্রকাশ করে বলেছে, ওই চিঠিতে আয়নাল কুর্দির বাবা আবদুল্লাহর ব্যাপারে কোনো কথা উল্লেখ নেই। বরং তিমা কুর্দির অন্য এক আত্মীয়ের ব্যাপারে সেখানে আবেদন করা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.