Sylhet Today 24 PRINT

মহাত্মা গান্ধীর দেহভস্ম চুরি

বিবিসি |  ০৪ অক্টোবর, ২০১৯

মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিনে তার দেহভস্ম চোর চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভারতের পুলিশের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

১৯৪৮ সালে এক হিন্দু উগ্রপন্থীর হাতে গান্ধী খুন হওয়ার পর থেকেই তার দেহভস্ম সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ার একটি জাদুঘরে রাখা ছিল। সেখান থেকেই তার দেহভস্ম চুরি হয়।

শুধু তাই নয়, চোরেরা মহাত্মা গান্ধীর ছবির উপরে সবুজ রঙ দিয়ে বিশ্বাসঘাতক লিখে দিয়ে গেছে। অনেক আগে থেকেই কিছু হিন্দু উগ্রপন্থী গান্ধীকে বিশ্বাসঘাতক বলে থাকেন। এর জন্য নিজে হিন্দু হয়েও হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠায় গান্ধীর ভূমিকাকে দায়ী করেন তারা।

মধ্য প্রদেশের রেওয়া থানা পুলিশ বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন যে, এই চুরির ঘটনা অবশ্যই জাতীয় ঐক্য চায় না এরকম কোন গ্রুপই ঘটিয়েছে। এবং তারা সামগ্রিক শান্তিও বিনষ্ট করতে চায়।

বাপু ভবন জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক মঙ্গলদ্বীপ তিওয়ারি এই চুরির ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি ভারতের সংবাদভিত্তিক ওয়েব সাইট দ্য অয়্যারকে জানিয়েছেন, গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে তিনি সকাল সাতটার দিকে জাদুঘরের দরজা খুলে দেন পরে তিনি রাত ১১টার দিকে ফিরে এসে দেখেন গান্ধীর দেহভস্ম চুরি হয়ে গেছে এবং তার ছবিতেও কারা যেন সবুজ কালিতে বিশ্বাসঘাতক লিখে দিয়ে গেছে।

স্থানীয় কংগ্রেস নেতা গুরমিত সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।

গুরমিত সিং দ্য অয়্যারকে জানিয়েছেন, এই পাগলামির একটা বিহিত হওয়া দরকার। রেওয়া পুলিশকে জানিয়েছি বাপু ভবনের সব সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

প্রসঙ্গত, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভারত ব্রিটিশ কলোনি থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ভারতের সবাই তাকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও কিছু হিন্দু উগ্রপন্থী তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করে। তাদের দাবি অনুসারে গান্ধী নিজে হিন্দু হয়েও অতিরিক্ত মুসলিম ঘেঁষা কর্মসূচি দিয়েছিলেন।

১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি এক হিন্দু উগ্রপন্থীর হাতে খুন হন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.