Sylhet Today 24 PRINT

মীনা কার্টুনের স্রষ্টা রামমোহন মারা গেছেন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১২ অক্টোবর, ২০১৯

উপমহাদেশে মেয়েদের অধিকার সুংসহত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের মীনা কার্টুনের স্রষ্টা রামমোহন মারা গেছেন। শুক্রবার ভারতভিত্তিক অ্যানিমেশনবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যানিমেশন এক্সপ্রেস এ তথ্য জানিয়েবলেছে মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

রামমোহনকে বলা হয় ‘ফাদার অফ ইন্ডিয়ান অ্যানিমেশন’। ইন্ডিয়ার অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রির যাত্রা একরকম তার হাত ধরেই শুরু। বাংলাদেশের মানুষ তাকে চেনেন তার সৃষ্টি মীনা চরিত্রটি দিয়ে।

খ্যাতনামা এ কার্টুনিস্টের ভারতীয় চলচ্চিত্রের জগতে কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। ১৯৬৮ সালে তিনি চলচ্চিত্র বিভাগ থেকে সরে দাঁড়ান। কাজ শুরু করেন প্রসাদ প্রোডাকশনের অ্যানিমেশন বিভাগের প্রধান হিসেবে। ১৯৭২ সালে নিজের প্রতিষ্ঠান রামমোহন বায়োগ্রাফিক্স চালু করেন, যা বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিল। জাপানের ইউগো সাকোর সহযোগিতায় যৌথভাবে জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড ছবি ‘রামায়ণ: দ্য লিজেন্ড প্রিন্স রামা’ পরিচালনা করেছিলেন রামমোহন। সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’, মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’ ইত্যাদি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।

১৯৯০-এর দশকে উপমহাদেশের মেয়েদের অধিকার সুংসহত করার লক্ষ্যে মীনা কার্টুন প্রচারের উদ্যোগ নেয় ইউনিসেফ। সে সময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি মুখাবয়ব সৃষ্টির জন্য তারা দ্বারস্থ হয় রামমোহনের। পরে তার রং-তুলিতেই ফুটে ওঠে মীনা কার্টুনের সবার পছন্দের রূপটি। ফিলিপাইনের ম্যানিলাতে অবস্থিত হান্না-বারবারা স্টুডিওতেও মীনার প্রথম দিককার বেশ কিছু পর্ব নির্মিত হয়। পরে ভারতের রাম মোহন স্টুডিওতে মীনার বাকি পর্বগুলো নির্মাণ করা হয়।

সিরিজগুলো পরিচালনা করেছিলেন রাম মোহন নিজেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মেয়েশিশুদের যেসব সমস্যা রয়েছে, তার সুন্দর সমাধান এই কার্টুন সিরিজগুলোর মাধ্যমে অত্যন্ত সহজভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.