Sylhet Today 24 PRINT

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৬ নভেম্বর, ২০১৯

পুরনো ছবি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। সকাল থেকেই শুরু হচ্ছে ভোট গ্রহণ। ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এ মুহূর্তে চরম জাতিগত উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই উত্তেজনার আগুনে আরও ঘি ঢালছে বিরোধী প্রার্থী সাবেক সেনাপ্রধান গোতাবায়া রাজাপাকসের সমর্থকরা।

পিছিয়ে নেই ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সহযোগী সাজিথ প্রেমাদাসাও। জাতিগত উসকানিমূলক বক্তব্য ছাড়ছেন তিনিও।

ফলে নির্বাচনোত্তর জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে জোর আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। অর্থনৈতিক দুর্দশা ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে সাধারণ শ্রীলঙ্কানরা। খবর আলজাজিরা ও এএফপির।

৮ম বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করছে শ্রীলঙ্কা। এই ভোটের লড়াইয়ে মোট প্রার্থী ৩৫ জন। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এটা রেকর্ড। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মূলত ইউএনএফ প্রার্থী আবাসনমন্ত্রী সাজিথ প্রেমাদাসা ও শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা পার্টির (এসএলপিপি) প্রধান, সাবেক দু’বারের প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের ছোট ভাই ও সাবেক সেনাপ্রধান গোতাবায়া রাজপাকসের মধ্যে।

ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ইতিমধ্যে দেশের সব প্রান্তে পৌঁছে গেছে ব্যালট বাক্স। দেশজুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার পুলিশ সদস্য। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে রয়েছেন আরও আট হাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সদস্য।

নির্বাচনে খরচ হচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ। দেশটির নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৭৫০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে নির্বাচনী ব্যয়। নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক ভোটের অন্তত তিন দিন আগে বুধবার প্রচারণা শেষ হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যায় হোমাগামা শহরে শেষ র্যালি-সমাবেশ করেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। অন্যদিকে রাজধানী কলম্বোয় শেষ র্যালি করেন প্রেমাদাসা। দেশটিতে এটাই প্রথম নির্বাচন যেখানে কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হননি। নির্বাচনে যোগ্য ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ।

এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা অন্যতম। কিন্তু দেশটির গণতন্ত্র এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এবারের নির্বাচনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সরকারকে উল্টে ফেলে রাজাপাকসে পরিবার ফের ক্ষমতায় আসতে পারে।

ফলে কর্তৃত্ববাদ, সহিংসতা এবং দুর্নীতি ফের জেঁকে বসতে পারে। ২০১৫ সালে শেষ হয় মাহিন্দা রাজাপাকসের এক দশকের দীর্ঘ শাসনামল। কিন্তু তার শাসনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল নির্লজ্জ স্বজনপ্রীতি, জাতিগত সহিংসতা আর লাগামহীন দুর্নীতি।

সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় ও সরকারি অর্থের প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজাপাকসের চার ভাই মিলে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে ধীরে ধীরে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেন মাহিন্দা। ছোট ভাই গোতাবায়ার মাধ্যমে সেই পুরনো ধারা ফের শুরু হতে পারে। তবে যেই জিতুক প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ফের দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়তে পারে। লড়াইয়ের মাঠে হাজির হতে পারেন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.