Sylhet Today 24 PRINT

অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল : বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ০২ জানুয়ারী, ২০২০

খুব শিগগির থামছে না অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় খুনে আগুনে মৌসুম। কয়েক দশকের মধ্যে নিকৃষ্টতম দাবানলে জ্বলছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল।

ভয়াবহ দাবানলে গত সোমবার থেকে ৯ জনের প্রাণহানি এবং চারজন নিখোঁজ হয়েছেন। এ ছাড়া শত শত বাড়িঘর ও যানবাহন পুড়ে গেছে। গত বুধবার বিকেলে নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির এমন তথ্য দিয়েছে। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। বিবিসি জানায়, দাবানলের আগুন ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলস উপকূল পেরিয়ে যাচ্ছে মেলবোর্নের দিকে। নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রায় ২০০ বাড়ি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।

রুরাল ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলের জেরে সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। ঘরবাড়ি পুড়েছে ৯১৬টি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩৬৩টি বাড়ি। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে আট হাজার ১৫৯ জনকে। দাবানল থেকে বাঁচতে নিউ সাউথ ওয়েলসের দক্ষিণ উপকূলের সাগর সৈকতে গত সোমবার থেকে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো মানুষ।

দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকেই চিহ্নিত করছেন অনেকে।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় সামার বা গরমের মৌসুম শুরু হল সবে। সাধারণত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটিতে বছরের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। তাই দাবানলের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে আরও কমপক্ষে মাস দুয়েক সময় লেগে যেতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল বোধ হয় কখনোই পুরোপুরি থামার নয়। কেননা, প্রতিবছরই দাবানলের ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দাবানলের ঘটনা হিসাব করলে ভবিষ্যতে দাবানল আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.