Sylhet Today 24 PRINT

ইরানের ৫২ স্থানে হামলা চালানোর হুমকি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |  ০৫ জানুয়ারী, ২০২০

ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্র অথবা দেশটির কোনো সম্পদে হামলা চালায়, তাহলে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ৫২টি স্থানে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই উত্তেজনা কমানোর কোনো লক্ষণ না দেখিয়ে এই হুমকি দিলেন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, “ইরানের ৫২টি স্থানকে হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেব চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে কয়েকটি স্থান ইরানের সংস্কৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থানে দ্রুত হামলা করা সম্ভব, যা ইরানের জন্য অনেক বেদনাদায়ক হবে।”

ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি চায় না।”

তিনি আরও জানান, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানের মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ জন নাগরিককে আটক করা হয়েছিলো। যারা এই ৫২টি স্থানে ৪৪৪ দিন ধরে জিম্মি ছিলেন।

শুক্রবার ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানি এবং ইরাকের সংসদের প্রধান নেতা আবু মাহাদি আল-মুহান্দিস যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হন। ওই ঘটনার পর থেকে এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

শনিবার রাতেও ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকা ‘গ্রিন জোন’ এবং মার্কিন বিমানঘাঁটি বালাদের আশপাশে বেশ কিছু রকেট পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

তবে, এসব রকেট হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন মার্কিন সেনা মুখপাত্র কর্নেল মাইলস বি ক্যাগিনস।

মার্কিন দূতাবাসভিত্তিক ‘গ্রিন জোন’ খুবই সুরক্ষিত একটি এলাকা।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব রকেটের একটিও মার্কিন দূতাবাসের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি।

নিরাপত্তা সূত্র ও ইরাকের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এক জোড়া কাত্যুশা রকেট উত্তর বাগদাদের মার্কিন বিমানঘাঁটি বালাদে আছড়ে পড়ে। তখন সেখানকার সাইরেন বেজে ওঠে এবং রকেটের উৎস খুঁজে বের করতে ড্রোন পাঠানো হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকের মার্কিন দূতাবাস ও দেশটিতে অবস্থান করা ৫ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা বিভিন্ন সময়ে রকেট হামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করে আসছে ওয়াশিংটন।

গত মাসে, ইরাকে কর্মরত একজন মার্কিন ঠিকাদারকে হত্যা করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক বিমান হামলায় ২৫ যোদ্ধা নিহত হন।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর ঊর্ধ্বতন কমান্ডার গোলাম আলি আবুহামজেহ বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই যাক না কেনো, তেহরান তাদের শাস্তি দেবেই। সম্ভাব্য হামালার জন্য উপসাগরীয় জাহাজগুলোই ইরানের লক্ষ্যবস্তু।”

লেবাননের আল মায়াদিন টিভি জানিয়েছে, “ইরাকি সেনাবাহিনীকে আজ সন্ধ্যা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ হাজার মিটার দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে হিজবুল্লাহ।”

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.