Sylhet Today 24 PRINT

ফেলানি হত্যা মামলার শুনানি হয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের এক শীতের সকালে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ফেলানির লাশ যেভাবে ঝুলছিল, সেই মর্মান্তিক দৃশ্য আজও ভোলেননি বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ। তবে ওই ঘটনায় বিএসএফের অমিয় ঘোষ নামে যে কনস্টেবল গুলি চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল, তিনি বাহিনীর নিজস্ব বিচার প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি পেয়ে যান। সেই অব্যাহতিকে চ্যালেঞ্জ করেই ভারতের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়। সেই ফেলানি হত্যা মামলার শুনানি এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র বিচারপতি ড. ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি কেএম জোসেফকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। ভারতের শীর্ষ আদালত দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর মামলাটির শুনানি নিচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৮ মার্চ। ওই দিন বাদী পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করার কথা রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের কাগজপত্রে অবশ্য মামলাটি ‘মুহম্মদ নূর ইসলাম (ও আরও একজন ব্যক্তি) বনাম ভারত রাষ্ট্র (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)’ নামেই নথিবদ্ধ হয়েছে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফেলানি হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএসএফকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তার যুক্তি, শীতের সকালে ঘন কুয়াশার কারণে বিএসএফ সদস্যরা ফেলানিকে দেখতে পাননি, তারা চোরাকারবারি সন্দেহেই কাঁটাতারের বেড়া টপকানোর সময় গুলি চালিয়েছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার সংস্থা-মাসুম ও তার কর্ণধার কিরীটি রায় এই মামলার অন্যতম পক্ষ। তিনি বলেন, ‘এতদিন বাদে যে ধুলো ঝেড়ে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার কাগজপত্র টেনে বের করলেন, সেটাকে আমরা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছি।’

‘আমরা এখনও সুপ্রিম কোর্টের ওপর ভরসা হারাতে রাজি নই। যতই দেরি হোক, ভারতের শীর্ষ আদালতে ফেলানির পরিবার সুবিচার পাবেন—এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা মামলা চালিয়ে যাবো’। বলেন কিরীটি রায়।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়ায় নিহত কিশোরীটির মরদেহ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। এরপর দু'দিনব্যাপী দফায় দফায় পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ ফেলানির লাশ বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছিল। এ সময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন চৌধুরীহাট বিওপির কোম্পানি কমান্ডারের এফআইআরের ভিত্তিতে দিনহাটা থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে এরই ভিত্তিতে ওইদিন একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়।






টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.