আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ০৯ এপ্রিল, ২০২০
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর শুরু হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে হুথি বিদ্রোহীরা এটা মেনে চলবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি জোট। গত মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গতি আনার তাগিদ দেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকরে তার বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার যুদ্ধবিরতির খবর প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানিয়েছেন মার্টিন গ্রিফিথ।
জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বিশেষ দূত বলেন, ‘লড়াইরত পক্ষগুলো এখন অবশ্যই এই সুযোগ ব্যবহার করবে এবং চরম গুরুত্বসহকারে অবিলম্বে সব ধরণের সহিংসতা বন্ধ করবে।’
বিবিসি জানিয়েছে, উভয়পক্ষ ভিডিও কনফারেন্সে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সৌদি জোটের প্রস্তাবে সব ধরনের বিমান, স্থল ও নৌ হামলা স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
সৌদি জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূতের উদ্যোগ সফল ও বাস্তবায়ন করতে, ইয়েমেনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে, করোনা মহামারি মোকাবিলা এবং এর বিস্তার ঠেকাতে জোট দুই সপ্তাহের জন্য বিস্তারিত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে। এটি শুরু হবে বৃহস্পতিবার।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। পালিয়ে রিয়াদে আশ্রয় নেন সৌদি সমর্থনপুষ্ট হাদি। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি’র বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে রিয়াদ। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে পুরো ইয়েমেন। ইয়েমেন পরিস্থিতিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক সংকট আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ আগেও যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিলেও এবারই প্রথমবারের মতো ইয়েমেন জুড়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলো সৌদি জোট। হুথি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম বলেছেন, তারা যুদ্ধ এবং ইয়েমেনের ওপর আরোপিত অবরোধ বন্ধের লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা সামনে রাখবেন।