Sylhet Today 24 PRINT

খোলা স্থানে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে করোনাভাইরাস নির্মূল সম্ভব নয়

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৭ মে, ২০২০

সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জীবানুনাশক ছিটানো হচ্ছে (ফাইল ছবি)

রাস্তাঘাটে বা উন্মুক্ত স্থানে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে করোনাভাইরাস নির্মূল করা সম্ভব নয়। বরং এতে আরো স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই অনেক দেশই এমন ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখনো এ চর্চা চলছে।

তবে শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এভাবে জীবাণুনাশক ছিটানোর ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। সংস্থাটির বিভিন্ন বস্তুর পৃষ্ঠ থেকে ভাইরাস দূরীকরণ সম্পর্কিত একটি নথিতে বলা হয়েছে, এভাবে জীবাণুনাশক ছিটানোতে কোনো কাজ নাও হতে পারে।

এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, করেনাভাইরাস বা অন্যান্য রোগজীবাণু নিধনে জীবাণুনাশক ছিটানো বা ফিউমিগেটর মেশিন দিয়ে রাস্তাঘাট বা মার্কেট শপিংমলের মতো উন্মুক্ত স্থানে স্প্রে করার বিষয়টি সুপারিশ করা যাচ্ছে না। কারণ এই জীবাণুনাশক ধুলাবালির সংস্পর্শে এসে অকার্যকর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া ধুলাবালি যদি নাও থাকে তবুও এভাবে স্প্রে করলে বস্তু বা মেঝের ‍পৃষ্ঠ সেভাবে জীবাণুনাশকে ঢেকে যায় না যতোটা সংস্পর্শকাল একটি রোগজীবাণুকে মেরে ফেলার জন্য প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রাস্তাঘাট বা ফুটপাতকে কভিড-১৯ সংক্রমণের স্থল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। তবে এ ধরনের জীবাণুনাশক ছিটানো মানবস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

বিজ্ঞাপন



সেই সঙ্গে কোনো ধরনের জীবাণুনাশক কোনো পরিস্থিতিতেই কারো গায়ে না ছিটানোর ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, এটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। আর এতে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বা সংস্পর্শ থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানো ঠেকানো সম্ভব নয়। আর মানসিক ক্ষতির বিষয়টি হলো, তার মধ্যে একটি ‘মিথ্যা নিরাপত্তা বোধ’ (ফলস সেন্স অব সিক্যুরিটি) তৈরি হতে পারে। এর ফলে কম সতর্ক হওয়ার হওয়ার কারণে তার সংক্রমিত ও সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তাছাড়া ক্লোরিন বা এ ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক মানুষের চোখ এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ (bronchospasm) এবং অন্ত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

এমনকি ঘরের ভেতরে ছিটালে কাজ হয়- কোনো গবেষণায় এমন প্রমাণ মিলেনি। নথিতে বলা হয়েছে, ঘরের ভেতরে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করতে চাইলে অবশ্যই কাপড় বা অন্য কিছু ভিজিয়ে মুছতে হবে।

চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে এ ভাইরাস বিভিন্ন বস্তুর পৃষ্ঠে থাকতে পারে এবং সেখান থেকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে বস্তুর পৃষ্ঠে ঠিক কতোক্ষণ পযন্ত এ ভাইরাসের সংক্রমণ সক্ষমতা থাকে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। যদি একাধিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, এটি কয়েকদিন পযন্ত অক্ষত থাকতে পারে। তবে এসব এখনো তাত্ত্বিক পযায়ে কারণে এ আচরণ পযবেক্ষণ করা হয়েছে গবেষণাগারে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.