Sylhet Today 24 PRINT

রাজাকারের তালিকা তৈরিতে শাজাহান খানের নেতৃত্বে সাব-কমিটি

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৯ আগস্ট, ২০২০

স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামি এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশের জন্য শাজাহান খানকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার (৯ আগস্ট) সংসদ ভবনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

রাজাকারদের তালিকা তৈরির জন্য গঠিত সাব-কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, এবি তাজুল ইসলাম, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল ও মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।

এই তালিকা তৈরিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্য আছেন, তাদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। এই সাব-কমিটি যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে রাজাকারদের তথ্য সংগ্রহ করবে।

বৈঠকের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ শহীদ হওয়া তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার মোট ২৪টি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এটর্নি জেনারেল এবং আইন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এবি তাজুল ইসলাম এবং মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের ‘বিতর্কিত’ তালিকা প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তা বাতিল করে সরকার।

সাব-কমিটি সম্পর্কে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান বলেন, ‘এবার সংসদীয় কমিটি তালিকা তৈরি করবে। এ কাজে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন, তাদের আমরা কাজে লাগাবো। আর তথ্য নেওয়া হবে যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে।

তিনি জানান, তারা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের ব্রিফ করে দেবেন। তারা তালিকা তৈরি করবেন। কোনও একক কর্তৃপক্ষ তালিকা করবে না। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এমপিদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা সমন্বয় করবেন।’

তালিকা তৈরি করতে কতদিন সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নে শাজাহান খান বলেন, ‘যেহেতু এটি খুবই একটি বড় কাজ। কিছুটা সময় তো লাগবে। এ কারণে আমরা কোনও সময় বেঁধে দেইনি। তবে আমি যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছি, ইনশআল্লাহ যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্ভুল তালিকা আমরা তৈরি করতে পারবো।’

বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয় না উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘ভিয়েতনামে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত চাকরি দেওয়া হয় না। আমরা তো মন্ত্রী পর্যন্ত বানিয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে আজ আলোচনা করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা যাতে সরকারি চাকরি না পায়, সে বিষয়ে কিছু একটা করা দরকার। সেজন্য রাজাকারদের তালিকাটা দরকার। এই কাজটা এবার আমরা করবো।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.