Sylhet Today 24 PRINT

সাকা-মুজাহিদের রিভিউ শুনানি ২ নভেম্বর

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২০ অক্টোবর, ২০১৫

২ নভেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন। এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদন দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনের পর অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদন শুনানি করার দিন নির্ধারণ ও দ্রুত শুনানি করতে আমরা এ আবেদনটি দাখিল করেছি। রিভিউ আবেদনের শুনানি অবকাশকালীন সময়ে অথবা অবকাশের পরেও হতে পারে, এটা নির্ধারণ করবেন মাননীয় আদালত।’

২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিলেন। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে মুজাহিদের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে গেলে সর্বোচ্চ আদালতও ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তবে প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল তাকে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আপিল বিভাগ শুধুমাত্র ষষ্ঠ অভিযোগে অর্থাৎ বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর দণ্ড থেকে বাঁচতে মুজাহিদের সামনে এখন খোলা রয়েছে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পথ। এতেও যদি তার সর্বোচ্চ দণ্ডই থেকে যায় তবে ফাঁসি থেকে বাঁচতে তার সামনে খোলা থাকবে একটাই রাস্তা, তা হলো- রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা।

অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন সাকার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে মোট ১ হাজার ৩শ ২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রে বিভিন্ন ডকুমেন্টসহ ২৭টি গ্রাউন্ড ছিল।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২৩টি অভিযোগের মধ্যে চারটিতে (অভিযোগ নং- ৩, ৫, ৬ ও ৮) তাকে ওই শাস্তি দেয়া হয়। এছাড়া তিনটি (অভিযোগ নং- ২, ৪ ও ৭) অভিযোগে তাকে ২০ বছরের ও দুটি (অভিযোগ নং- ১৭ ও ১৮) অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এরপর নিয়মমাফিক সাকাও ওই রায়ের বিরুদ্ধে যান আপিল বিভাগে। তবে সেখানেও তার সর্বোচ্চ সাজার রায়ই বহাল থাকে। ৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদের সঙ্গে তারও মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এরপর দুজনের রায়েরই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি একসঙ্গে আসে ট্রাইব্যুনালে। এরপর ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.