Sylhet Today 24 PRINT

সাকা-মুজাহিদের রিভিউ শুনানি ১৭ নভেম্বর

সিলেটটুডে ডেস্ক  |  ০২ নভেম্বর, ২০১৫

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মো. মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। আজ (সোমবার) শুনানি শুরু হবার কথা থাকলেও আদালত তা পিছিয়ে ১৭ নভেম্বরে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

একই সাথে ৫ পাকিস্তানি সহ ৮ জনকে সাফাই স্বাক্ষী চেয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর করা আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আপীল বিভাগ।

সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে এই সিদ্ধান্ত দেন । বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনের দায়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালে তার আগেই সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল। তারা আপিল করলে চলতি বছরের ২৯ জুলাই সালাউদ্দিন কাদেরের এবং ১৬ জুন মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগ রায় দেয।

দুটি দিনে দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপর নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল দুজনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদকে এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থাকা সালাউদ্দিন কাদেরকে সেই মৃত্যু পরোয়ানা ১ অক্টোবর পড়ে শোনানো হয়।

দণ্ড কার্যকরের আগে দুই যুদ্ধাপরাধীর আইনি শেষ সুযোগ রিভিউ আবেদন। এই আবেদনে রায়ে কোনো পরিবর্তন না হলে তাদের শেষ সুযোগ থাকবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া।

এর আগে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লা ও মো. কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন একদিনের মধ্যে শুনানি শেষে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাননি, পরে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, রিভিউ নিষ্পত্তির আগে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না। রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে সেই রায়ের অনুলিপি কারাগারে যাবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করবে।

সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদ রিভিউ আবেদন দায়েরের পর রাষ্ট্রপক্ষ শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য গত ১৫ অক্টোবর আবেদন করে।

এরপর সালাউদ্দিন কাদের রিভিউ শুনানিতে পাঁচ পাকিস্তানিসহ আটজনের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য ১৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে, যাতে আদালতে এসে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ওই আটজনের নামে সমন জারির আরজিও রয়েছে।

২০ অক্টোবর এসব আবেদন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে, আদালত রিভিউসহ এ আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।

পরে নিজামীর আপিলে এবং মুজাহিদের রিভিউ শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে কনিষ্ঠ দুই আইনজীবী যাতে নির্বিঘ্নে সহায়তা করতে পারেন, সে নির্দেশনা চেয়ে ২৫ অক্টোবর আবেদন করা হয়।

দুটি মামলায়ই প্রধান আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাকে সহায়তা করতে যে আইনজীবী দল রয়েছে, তাতে শিশির মনির ও আসাদ উদ্দিন সদস্য রয়েছেন। তাদের জন্যই আবেদন দুটি করা হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.