Sylhet Today 24 PRINT

সাফাই সাক্ষ্য দিতে পারছেন না সাকা’র পাকিস্তানি বন্ধুরা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০২ নভেম্বর, ২০১৫

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) পক্ষে সাক্ষী হতে আগ্রহী তার ৫ পাকিস্তানি বন্ধুরা সাক্ষ্য দিতে পারছেন না। কারণ তার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

সাকা চৌধুরীর পক্ষে ৫ পাকিস্তানি নাগরিকসহ সাতজন রিভিউ শুনানিতে সাফাই সাক্ষ্য প্রদানের অনুমতি চেয়ে ১৯ অক্টোবর সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান আল ফেসানী।

সোমবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সাকা ও মুজাহিদের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) শুনানি নির্ধারণ করে দেন ১৭ নভেম্বর। একইসঙ্গে দু’জনের পক্ষে আদালতে যে কয়টি আবেদন করা হয় সব আবেদনই খারিজ করে দেয়া হয়।

আপিল বিভাগের এই বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সাকার পক্ষে করা আবেদনে ওই সাত সাক্ষির মধ্যে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিয়া সুমরো, পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানি, ফিজিতে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিকের নাম রয়েছে। দু'জন ব্যবসায়ীও রয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও তার মা সাকার পক্ষে সাক্ষ্য নিতে আবেদন জানানো হয়েছিল সাকা চৌধুরী পক্ষে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২৩টি অভিযোগের মধ্যে চারটিতে (অভিযোগ নং- ৩, ৫, ৬ ও ৮) তাকে ওই শাস্তি দেয়া হয়। এছাড়া তিনটি (অভিযোগ নং- ২, ৪ ও ৭) অভিযোগে তাকে ২০ বছরের ও দুটি (অভিযোগ নং- ১৭ ও ১৮) অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এরপর নিয়মমাফিক সাকাও ওই রায়ের বিরুদ্ধে যান আপিল বিভাগে। তবে সেখানেও তার সর্বোচ্চ সাজার রায়ই বহাল থাকে। ৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদের সঙ্গে তারও মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

এরপর দুজনের রায়েরই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি একসঙ্গে আসে ট্রাইব্যুনালে। গত ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, রিভিউ নিষ্পত্তির আগে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না। রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে সেই রায়ের অনুলিপি কারাগারে যাবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.