Sylhet Today 24 PRINT

যুদ্ধাপরাধী নিজামীর রিভিউ শুনানি কার্যতালিকায়

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৩ মে, ২০১৬

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) আপিল বিভাগের মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় উঠেছে।

সোমবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে ‘মতিউর রহমান নিজামী বনাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউর’ মামলাটি মঙ্গলবারের কার্যতালিকার ৪ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এই বেঞ্চের অন্য তিন বিচারক হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিও) জন্য ২৯ মার্চ আবেদন করেন একাত্তরের বদর প্রধান নিজামী। এরপর আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ এপ্রিল আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য ৩ মে দিন রাখে।

জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির নিজামীর রিভিউ আবেদন দায়েরের পর তা দ্রুত শুনানির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৩০ মার্চ চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার বিষয়টি ৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

সেদিন আসামিপক্ষ ছয় সপ্তাহ সময়ের আবেদন করলে আদালত বিষয়টি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়।এর ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল রিভিউ আবেদনটি তালিকায় আসে।

রিভিউ আবেদন দায়েরের পর নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন জানিয়েছিলেন, ৭০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে তারা মোট ৪৬টি যুক্তি তুলে ধরে সব দণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন।

নিজামীর রিভিউ না টিকলে রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। দুই আর্জিই নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর ৬ জানুয়ারি আপিল আংশিক মঞ্জুর করে সেই ফাঁসির রায়ই বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত।

নিজামী একাত্তরে ছিলেন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল-বদর বাহিনীর প্রধান।

স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর দমন-পীড়ন চালাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটিতেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে এই মামলার বিচারে উঠে আসে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.