Sylhet Today 24 PRINT

স্বাধীনতা দিবসে উন্মুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘর

নিউজ ডেস্ক  |  ২৬ মার্চ, ২০১৫

বাঙালির ইতিহাসের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘর ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের বিবর্তনের ধারায় ১৯৭১-এর ৭ মার্চ এই প্রান্তরে দাঁড়িয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধিনতার সংগ্রাম।

৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই। আর এই প্রেক্ষাপটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘর স্থাপন একটি সময়োচিত যুক্তিসংগত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকেই।

জানা যায়, ৬৭ একর বিস্তৃত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রস্থলে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ৫ হাজার ৬৬৯ বর্গমিটার পাকা চাতাল বা প্লাজা এবং এর চারপাশে রয়েছে তিনটি জলাশয়, বাঙালি জাতিসত্তার অমরতার প্রতীক ‘শিখা চিরন্তনী’ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামকে ভিত্তি করে নির্মিত একটি দেয়ালচিত্র।

জাদুঘরের উপরিভাগে রয়েছে ১৫৫ আসনসংখ্যার আধুনিক মানের মিলনায়তন। স্বাধীনতা স্তম্ভটি বস্তুত ১৫০ ফুট উচ্চ একটি গ্লাস টাওয়ার। গ্লাস টাওয়ারে স্থাপিত লাইটের আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বে প্রক্ষেপিত হয়।

বাঙালির জাতীয় জীবনে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যে সুগভীর তাৎপর্য, তার সঙ্গে সংগতি রেখেই সুউচ্চ স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং গগনচুম্বী আলোকরশ্মি মালার পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্বাধীনতা জাদুঘরটি ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার বাস্তব নিদর্শনে আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৪৪টি প্যানেলে বাঙালি ও বাংলাদেশি জাতিসত্তার স্বাধীনতার ইতিহাস আলোকচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে।

স্বাধীনতা স্তম্ভকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরণের ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভের লনে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা ১৯৭১’-এর চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন ও ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গানের আসর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দের প্রতীক হিসেবে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা জাদুঘর পরিচালিত হবে। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে গণপূর্ত বিভাগ। স্বাধীনতা জাদুঘর প্রতি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ও শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশমূল্য মাথাপিছু ১০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য প্রবেশমূল্য ২ টাকা।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.