হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের রায় সোমবার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের রায় সোমবার ঘোষণা করা হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করে আজ এ আদেশ দেয়।

এটা মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৫তম রায়।

এ মামলার আসামীরা হচ্ছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী।

প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, দুই আসামির বিরুদ্ধে যে সব সাক্ষ্য প্রমাণ আমরা উপস্থিত করেছি তাতে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছি।

গত ১৬ আগস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হলে মামলাটির রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর এ দু’জনের বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগে একই বছরের ১৮ মে এই দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।

সাত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত ও রজব রাজাকার এবং পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গণহত্যা, লুটপাট এবং কৃষ্ণপুরে নৃপেন রায়ের বাড়িতে রাধিকা মোহন রায় ও সুনীল শর্মাসহ ১৫ জন জ্ঞাত ও ২৮ জন অজ্ঞাত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের গুলি করে হত্যা করে।

দুই ও তিন নম্বর অভিযোগ হচ্ছে একই এলাকার চন্ডীপুর ও গদাইনগর গ্রামে গণহত্যা ও লুটপাট করেছে তারা।

অভিযোগ চার হচ্ছে অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামে শ্মশানঘাটে হত্যাকাণ্ড চালায় তারা।

অভিযোগ পাঁচে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে অপহরণ এবং রঙ্গু মিয়াকে অপহরণ ও হত্যা করেছে তারা।

অভিযোগ ছয় ও সাত হচ্ছে অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে ও সাবিয়ানগর গ্রামে খাঁ বাড়িতে হত্যার অভিযোগ।