Sylhet Today 24 PRINT

রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের তালিকা করা হবে- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ভবিষ্যৎ বংশধররা যাতে ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী কুলাঙ্গারদের চিনতে পারে, এ জন্য তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।

নিউজ ডেস্ক |  ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।

তিনি সোমবার (২৬ জানুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ভবিষ্যৎ বংশধররা যাতে ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী কুলাঙ্গারদের চিনতে পারে, এ জন্য তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস’র তালিকা ছিল। কারণ তাদেরকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিজামী, মুজাহিদ যখন মন্ত্রী ছিল, তখন তারা ওই তালিকা গায়েব করে দেয়। বর্তমানে থানা পর্যায়ে সীমিত সংখ্যক রাজাকারের তালিকা রয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করবো।

জাতীয় পার্টির সদস্য নূরে হাসনা লিলি চৌধুরীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত, পৈশাচিক ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার মা-বোনদের কথা জাতি কোনদিন ভুলবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদেরকে সম্মানসূচক ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। বর্তমান সরকার তাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। আগামী ২/১ মাসের মধ্যেই এ তালিকা চূড়ান্ত হবে।

তিনি বলেন, বীরাঙ্গনাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা বর্তমান সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ওই সময়ে তাদের ত্যাগের কথা প্রকাশ করতে চান না। যারা প্রকাশ করতে চান না মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা করে তা সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু প্রকাশ করা হবে না। আর যারা প্রকাশ করতে সম্মত হবেন, তাদের তালিকা প্রকাশ করে তা গেজেটভুক্ত করা হবে। এসব নারী মুক্তিযোদ্ধারা অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের মতো সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান- মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা প্রদানের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

সংসদে সরকারি দলের মোহাম্মদ ইলিয়াছের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ভিআইপি মর্যাদা দেয়ার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ভিআইপি মর্যাদার বিষয়টি ঘোষণা করা না হলেও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ ভিআইপিদের ন্যায় বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন এবং খেতাবপ্রাপ্তদেরকেও এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতার পরিমাণ ৯শ’ থেকে চার দফায় বৃদ্ধি করে ৫ হাজার টাকায় এবং ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ থেকে ২ লাখে উন্নীত করেছে এবং পূর্বের অসচ্ছল ভাতার পরিবর্তে এখন সম্মানি ভাতা হিসেবে সকল মুক্তিযোদ্ধাকেই প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।





টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.