Sylhet Today 24 PRINT

মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কিভাবে?

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৪ মার্চ, ২০২১

মশার যন্ত্রণায় সবাই অতিষ্ট। মশার যন্ত্রণায় দু’দণ্ড বসার উপায় নেই! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- মশার কামড়ে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মশার কামড়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাস, ম্যালেরিয়াসহ নানা ধরনের রোগ হয়। তাই তো বাজারে এসেছে মশা তাড়ানোর কিছু উপকরণ। যার মাধ্যমে সহজেই মশা তাড়ানো যায়।

জেনে নিন কী কী উপকরণের সাহায্যে সহজেই মশা তাড়াতে পারবেন-

কয়েল: মশার যম হলো কয়েল। তাই মশা তাড়ানোর খুব সহজ আর সাশ্রয়ী উপায় হলো কয়েল ব্যবহার করা। বর্তমানে উন্নত প্রক্রিয়ায় কয়েল তৈরি করা হয়। এ ছাড়া ধোঁয়াবিহীন কয়েলও পাওয়া যায়। তাই মশার কয়েল কেনার আগে অবশ্যই কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ তা যাচাই করে নেবেন।

হলুদ আলো: মশা সাধারণত সব আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় না। হলুদ আলো দেখলে মশা পালায়। এলইডি লাইট, হলুদ ‘বাগ লাইট’ বা সোডিয়াম লাইট এক্ষেত্রে উপকারী। যদি ঘরে হলুদ বাতি না থাকে, তাহলে সাধারণ লাইটের উপরে হলুদ রঙের কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন।

ক্রিম: মশা নিরোধক ক্রিম পাওয়া যায় বিভিন্ন ফার্মেসিতে। এসব ক্রিমে ক্ষতিকারক কোনো রাসায়নিক উপাদান নেই। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ছোটরাও ব্যবহার করতে পারে। এসব ক্রিম ত্বকের খোলা স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্রিম ব্যবহার করলে শরীরের প্রকৃত ঘ্রাণ দূর করে। ফলে মশা মানুষের গন্ধ বুঝতে পারবে না।

স্প্রে: বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মশা মারার স্প্রে রয়েছে। স্প্রে ব্যবহারের সময় অবশ্যই নাক-মুখ কাপড় বা মাস্ক দিয়ে ঢেকে নেবেন। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রেখে চারদিকে স্প্রে করার আগে খাদ্যদ্রব্য ঢেকে রাখবেন। স্প্রে করার পর অন্তত ১০ মিনিট ঘর বন্ধ রেখে বাইরে থাকুন। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রভাব থেকে রক্ষা পাবেন।

সফটওয়্যার: অ্যান্টি মসকুইটোস নামক একটি সফটওয়্যার আছে। এটি ১৬-২০ হাজার হার্জ পর্যন্ত শব্দ উৎপন্ন করে। যা মানুষ শুনতে না পেলেও মশা ঠিকই শুনতে পায়। এ সফটওয়্যার চালু করে ঘর বন্ধ করে রাখলে ভালো হয়। তবে একটানা চালিয়ে রাখবেন না। এতে শ্রবণশক্তিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

ম্যাজিক মশারি: মশা থেকে বাঁচতে ম্যাজিক মশারির বিকল্প নেই। এ মশারির বুনন কৌশল ও ফেব্রিক্স অন্যান্য মশারি থেকে ভিন্ন। এর জালের ফাঁকা অংশগুলো তুলনামূলক বড় এবং বেশ হালকা। ফলে ভালোভাবেই বাতাস প্রবেশ করে, যা আপনাকে গরমে স্বস্তি দেবে। এটি অন্যান্য সাধারণ মশারির মতো ভারি নয়।

কিলার ব্যাট: বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মশা নিরোধক কিলার ব্যাট। এটি র্যাকেটের মতো দেখতে একটি ইলেকট্রিক ব্যাট। মশাসহ অন্যান্য পোকামাকড়ও ধ্বংস করতে পারবেন ব্যাট দিয়ে। চার্জের সাহায্যে এটি চালানো হয়। তাই যতক্ষণ ব্যাটে চার্জ থাকবে; ততক্ষণই আপনি মশা মারতে পারবেন। কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নেবেন।

পাওয়ার গার্ড মেশিন: বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে লাগিয়ে চালু করে দিলেই ভেতরের রাসায়নিক পদার্থ পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে যাবে। এতে মশা পালাবে দ্রুত। এর রিফিলপ্যাকও পাওয়া যায়। তাই এ ডিভাইস একবার কিনলেই চলে।

কীটনাশক: একধরনের কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমেও মশা তাড়ানো যায়। এর মধ্যে থাকে মিষ্টি গন্ধ, যা মশাকে দ্রুত আকর্ষণ করে। এ কীটনাশক খেলে মুহূর্তেই মশা মারা যায়। বর্তমানে মশা মারার অন্যান্য উপকরণের পাশাপাশি এ কীটনাশকের ব্যবহারও বেড়েছে।

ফ্যান: কোনো উপকরণ যখন হাতের কাছে থাকবে না; তখন ঘরে থাকা ফ্যানই ভরসা। মশা খুব হালকা হওয়ায় ফ্যানের বাতাসের কারণে উড়তে পারে না। তাই গরমে আরাম পেতে ও মশা থেকে বাঁচতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমান।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.