Sylhet Today 24 PRINT

হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে হাঁটার পরামর্শ গবেষকদের

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৪ আগস্ট, ২০১৬

গবেষণায় দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয় জীবন যাপন করলে শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধে। একইসঙ্গে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বহুগুণে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় জীবন যাপনের ফলে ডায়াবেটিসের মতো প্রাণঘাতী রোগও হতে পারে। ফলে যে কোনো কারণে মৃত্যু ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই গবেষকরা এসব স্বাস্থ্যক্ষতি এড়াতে বেশি করে হাঁটার পাশাপাশি কম বসার পরামর্শ দিয়েছেন।

সাধারণত শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় জীবন-যাপনের প্রধান অভ্যাসগুলো হলো, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, শুয়ে থাকা বা গা এলিয়ে দেওয়া যেমন-যখন কেউ জেগে আছেন, পড়ছেন, টেলিভিশন দেখছেন বা কম্পিউটারে কাজ করছেন।

গবেষকরা দেখেছেন, এসব ‘নিষ্ক্রিয় তৎপরতায়’ শক্তি ব্যয় হয় মাত্র ১.৫ এমইটি’র চেয়েও কম। হালকা গৃহস্থালি কাজ বা ধীরগতির অথবা অবসরকালীন হাঁটাহাঁটিতে সাধারণত ২.৫ এমইটি শক্তি ব্যয় হয়। আর মাঝারি থেকে তীব্রমাত্রার শারীরিক তৎপরতায় সাধারণত ৩.০ বা আরো বেশি এমইটি শক্তি ব্যয় হয়।

তবে মাঝারি বা তীব্র শারীরিক তৎপরতার কারণে নিষ্ক্রিয়তার ফলে যে ক্ষতি হয় তা দূর হয় না। এমনকি শারীরিকভাবে যথেষ্ট সক্রিয় ব্যক্তিরাও যদি অধিক পরিমাণে নিষ্ক্রিয় সময় ব্যয় করেন তারাও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অত্যধিক ঝুঁকিতে থাকেন।

গবেষকদের মতে, কেউ শারীরিকভাবে কতটা সক্রিয় থাকলেন তাতে একাধারে দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার কুফল দূর হয় না। বরং একাধারে দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে হৃদপিণ্ড ও রক্তের শিরা-উপশিরাগুলো অনিবার্যভাবেই ক্ষতির শিকার হয়।

তবে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ফলে স্বাস্থ্যের ঠিক কতটা ক্ষতি হয় তা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, ‘কম বসুন বেশি হাঁটুন’।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রায় বা ৭৫ মিনিট তীব্র মাত্রায় ব্যায়াম করতে হবে। তবে এক বা দুইদিনেই সব শরীর চর্চা না করে বরং প্রতিনিয়ত শারীরিকভাবে তৎপর থাকতে হবে। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.