Sylhet Today 24 PRINT

আগরবাতির ধোঁয়ায় ক্যানসার হতে পারে

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২২ অক্টোবর, ২০১৮

যেকোনো ধর্মীয় বা পবিত্র উৎসব ধূপকাঠি ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যা আগরবাতি নামে পরিচিত। আশপাশের পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখতে ও সুগন্ধি এনে দিতে প্রধানতম প্রায় সব ধর্মের মানুষেরাই ধূপকাঠি ব্যবহার করে থাকেন।

অনেকে ধূপকাঠি ও এর ধোঁয়াকে আধ্যাত্মিকতার চিহ্ন হিসেবেও মনে করেন। এর সুগন্ধ ভালোবাসেন অনেকে। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি, আগরবাতির ধোঁয়া কী প্রভাব ফেলে আমাদের শরীরে?

ধূপকাঠি বা আগরবাতি কী ক্ষতিসাধন করে? ২০১৫ সালে সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁরা ধূপকাঠির সাধারণ উপাদান আগর কাঠ ও চন্দনকাঠের ওপর গবেষণা করে বলেন, আগরবাতির ধোঁয়া শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।

বিজ্ঞানীরা বলেন, আগরবাতি জ্বালিয়ে এর ধোঁয়া গ্রহণ করা আর ক্যানসারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলা একই ব্যাপার। সিগারেটের ধোঁয়া যেমন ক্ষতি করে, একই ক্ষতি করে আগরবাতির ধোঁয়া।

বিজ্ঞানীরা বলেন, ধূপকাঠির ধোঁয়ায় তিন ধরনের টক্সিন আছে, যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। ওই তিন টক্সিন হলো—মিউটাজেনিক, জেনোটক্সিক ও সাইটোটক্সিক। তা ছাড়া আগরবাতির ধোঁয়া জিন পরিবর্তনের কারণ হতে পারে, যা ক্যানসার ও অন্যান্য ফুসফুস সংক্রান্ত রোগের প্রথম শর্ত। আর জিনগত পরিবর্তন ডিএনএকে বদলে দিতে পারে, যা ভালো লক্ষ্মণ নয়।

এ ছাড়া আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির এক গবেষণা বলছে, দীর্ঘদিন আগরবাতির ধোঁয়া গ্রহণ করলে শ্বাসযন্ত্রের ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া আগরবাতির কারণে ক্রোনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও হাঁপানি হতে পারে।

কী করা উচিত?

  • বাচ্চাদের সামনে আগরবাতি বা ধূপকাঠি জ্বালানো যাবে না, তা ফুসফুসের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
  • তখনই আগরবাতি জ্বালানো উচিত, যদি প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত খোলা জায়গা থাকলেই কেবল আগরবাতি জ্বালানো যাবে।
  • যারা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের আগরবাতি থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • আগরবাতি জ্বালানোর আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এটা ঘর বা অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ করে, নির্গত করে কার্বন মনো-অক্সাইড, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সূত্র: আজ কি খবর

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.