Sylhet Today 24 PRINT

নিয়ন্ত্রিত ব্যায়ামে সুস্থ থাকবে হৃৎপিণ্ড

অনলাইন ডেস্ক |  ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত ব্যায়ামের মাধ্যমেই হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখা যায়।তবে কী ভাবে ব্যায়াম করছেন আর কী কী ব্যায়াম করছেন তার উপরেই  আপনার হৃৎপিণ্ডের সক্রিয়তা নির্ভর করে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে হঠাৎ করেই ব্যায়াম শুরু করা ঠিক নয়। বিশেষ করে যাদের ব্যায়ামের অভ্যাস নেই, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিংবা হাঁটু বা কোমরে ব্যথা  আছে তাদের ব্যায়ামের ব্যাপারে সাবধান হওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের ব্যায়াম করা উচিত।

হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসকে ভাল রাখতে কিছু কার্ডিও ব্যায়াম যেমন- হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার, খেলাধুলা ইত্যাদি করতে পারেন৷ হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে চাইলে শুয়ে–বসে থাকা ঠিক নয়।

অন্য ব্যায়াম করতে না পারলেও হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।প্রথমে ধীরে, তার পর অভ্যাস হয়ে গেলে মাঝারি গতিতে হাঁটার অভ্যাস করুন। সবচেয়ে ভাল হয় দিনে অন্তত আধঘণ্টা হাঁটতে পারলে। শরীর তৈরি না থাকলে প্রথম দিকে ১৫ মিনিট করে হাঁটুন। সম্ভব হলে দিনে দুইবার হাঁটুন৷ হাঁটার জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন।

একই গতিতে একটানা হাঁটুন৷ সকালের দিকে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে পারলে ভাল৷ সকালে সময় না পেলে বিকালে বা সন্ধ্যায় হাঁটুন।

বেশি হাঁটলে যদি খুব হাঁপিয়ে যান, বেশি ঘাম হয়, সারাদিন ক্লান্ত–অবসন্ন লাগে, বুঝবেন বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে৷ তখনই ব্যায়াম কমাতে হবে৷

হাঁটুতে সমস্যা না থাকলে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন৷ কাছাকাছি কোথাও যেতে হলে হেঁটে বা সাইকেলে যান৷ ঘরে নিজের কাজ নিজে করতে পারলে ভাল৷ মাঝেমধ্যে ঘর–বাড়ি বা গাড়ি ধোয়ামোছা করতে পারেন৷

কত দূর হাঁটলে বুকে ব্যথা হয় না, তা বুঝে  হাঁটুন৷ বিশ্রাম নিন৷ আবার হাঁটুন৷ আবার বিশ্রাম নিন৷ কিছু দিন পর হৃৎপিণ্ড আগের চেয়ে বেশি ধকল নিতে পারবে৷ যে গতিতে হাঁটলে কষ্ট হয় না, সেই গতিতে হাঁটুন৷সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পর বুকে চাপ ধরে গেলে ধীরেসুস্থে উঠুন। এছাড়া হৃৎপিণ্ড ভাল রাখতে স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন করতে পারেন৷

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.