Sylhet Today 24 PRINT

নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৮ মে, ২০১৯

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ বা লক্ষণ থাকে না, হঠাৎ করেই ধরা পড়ে। কখনো এটি জটিলতা নিয়েই নির্ণীত হয়। উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা চোখ, কিডনি, মস্তিষ্ক বা হার্টের সমস্যা করতে পারে। তাই একটা বয়সের পর সবারই উচিত নিয়মিত নিজের রক্তচাপ মাপা।

উচ্চ রক্তচাপ কখন বলবেন
*কারও রক্তচাপ একবার বা দুবার ১৪০ / ৯০ মিলিমিটার পারদ বা তার বেশি হলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে বিবেচনা করা যায়।
*স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০ / ৮০ মিলিমিটার পারদ বা তার নিচে।
*ওপরের দুটি রক্তচাপের মাঝামাঝি আপনার রক্তচাপ পাওয়া গেলে তাকে প্রাক্-উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রাক্–উচ্চ রক্তচাপকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রক্তচাপ ১৩০ / ৮৫ মিলিমিটার পারদের নিচে স্বাভাবিক এবং এর ওপর কিন্তু ১৪০ / ৯০ মিলিমিটার পারদের নিচে মাত্রা হলে উচ্চমাত্রার স্বাভাবিক রক্তচাপ।

কীভাবে রক্তচাপ মাপবেন?
নিজে নিজে বাড়িতে রক্তচাপ মাপা ভালো। এতে বারবার হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এড়ানো যায়। নিজে রক্তচাপ মেপে নিজের সম্পর্কে সচেতন হবেন, কিন্তু কখনোই নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না।

*বাহুর কাপড় সরিয়ে নিন বা পাতলা ঢিলেঢালা কাপড়ের ওপর কাফ বেঁধে নিন। কাফ সঠিক জায়গায় বাঁধবেন, খুব ঢিলে করে বাঁধবেন না।
*রক্তচাপ মাপার সময় কথা বলবেন না।
*রক্তচাপ মাপার আগে অন্তত ৫ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ছোটাছুটি বা হুড়োহুড়ি করে মাপা উচিত নয়।
*রক্তচাপ মাপার আগে অন্তত আধা ঘণ্টা চা, কফি পান, ধূমপান করবেন না।
*প্রতিদিন বা দিনে বারবার রক্তচাপ মাপার দরকার নেই। এতে অযথা উদ্বেগ বাড়বে ও তাতে আরও রক্তচাপ বাড়তি মনে হবে।
*কখনো রক্তচাপের মাত্রা একটু বেশি মনে হলে অস্থির বা উদ্বিগ্ন না হয়ে বিশ্রাম নিন ও দুই মিনিট পর আবার মাপুন। এতেও বেশি পেলে তখনই চিকিৎসার দরকার নেই, অন্তত পরপর দুই দিন বেশি পেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

রক্তচাপ বাড়ে, কমে?
অনেকেই বলেন যে তাঁদের রক্তচাপ ওঠানামা করে, একেকবার একেক রকম পাওয়া যায়। দিনের বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন কাজকর্ম, খাওয়া-ঘুম-বিশ্রাম বা পরিশ্রম-উত্তেজনার সঙ্গে রক্তচাপ পরিবর্তিত হতে পারে। মাঝরাতে ঘুমের মধ্যে আমাদের রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। সকালবেলা বাড়তে শুরু করে ও দুপুর, বিকেলে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। তারপর আবার কমতে থাকে। এই দৈনন্দিন ওঠানামার পরিমাণ সিস্টোলিক ১০-১৫ মিলিমিটার এবং ডায়াস্টোলিক ৫-১০ মিলিমিটার পারদের বেশি হওয়ার কথা নয়। অনেকের আবার কেবল চিকিৎসকের কাছে গেলে রক্তচাপ বাড়তি পাওয়া যায়, বাড়িতে কম থাকে। এমনটা হলে বা দৈনিন্দন ওঠানামা বেশি হলে ২৪ ঘণ্টার রক্তচাপ মনিটরিং যন্ত্র লাগিয়ে নিশ্চিত হতে হবে।

লেখক: শরদিন্দু শেখর রায়, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.