Sylhet Today 24 PRINT

অ্যালর্জি সারাতে হলুদ বেশ কার্যকরী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ মে, ২০১৯

মানুষভেদে অ্যালার্জির উপসর্গ ভিন্ন, চিকিৎসা ভিন্ন। অনেকে বুঝতেই পারেন না তার অ্যালর্জির প্রকৃত কারণ। আর বুঝতে পারলেও তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কিংবা নিরাময় মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে মজার বিষয় হল যন্ত্রণাদায়ক এই সমস্যার সহজ সমাধান আছে প্রতিটি রান্নাঘরেই। আর তা হল হলুদ। ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ হলুদ অ্যালর্জির উপসর্গ সামলাতে বেশ কার্যকরী।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো বিস্তারিত।

অ্যালার্জির আক্রমণের রয়েছে অসংখ্য কারণ। খাবার, ওষুধ, ফুলের রেণু, ধোঁয়া, ধুলাবালি ইত্যাদি এদের মধ্যে বেশি প্রচলিত। একজন মানুষের যে বস্তুতে অ্যালার্জি আছে সেই বস্তুটি তার শরীরে প্রবেশ করলে তা তার রক্ত প্রবাহে ‘হিস্টামিন’ ছড়িয়ে দেয়, যা শরীরে ‘মিউকাস’ তৈরির প্রক্রিয়া দ্রুততর করে।

অ্যালার্জির প্রচলিত উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে কাশি, ত্বক র‌্যাশ কিংবা ফুলে ওঠা, চুলকানি, গলায় অস্বস্তি ইত্যাদি। হলুদে থাকে ‘কারকিউমিনোয়েড’-জাতীয় উপাদান, যার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল ‘কারকিউমিন’। এই উপাদানের আছে শক্তিশালী প্রদাহরোধী, ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাগুণ।

অ্যালার্জি সারাতে হলুদের ব্যবহার

অ্যালার্জি সারাতে হলুদ চারভাবে ব্যবহার করা যায়।

দুধের সঙ্গে হলুদ- এজন্য লাগবে আধা চা-চামচ হলুদ-গুঁড়া, এক কাপ দুধ, এক চা-চামচ মধু এবং এক চিমটি গোলমরিচ। ফুটন্ত দুধে হলুদ-গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। পরে যোগ করতে হবে মধু আর গোলমরিচ। সবকিছু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ঠাণ্ডা হলে রাতে ঘুমানোর আগে এটি পান করতে হবে। যাদের পেটে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার সয় না তারা ‘আমন্ড মিল্ক’ কিংবা ‘কোকোনাট মিল্ক’ ব্যবহার করতে পারেন বিকল্প হিসেবে।

চায়ের সঙ্গে হলুদ- আধা চা-চামচ মধু, আর একটি পাত্রে এক গ্লাস পানি গরম করা অবস্থায় তাতে আধা চা-চামচ হলুদ-গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। পাত্রে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিয়ে গ্লাসে ঢেলে নিতে হবে। এবার তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। দিনে দুবার হলুদ মেশানো চা পান করলে অ্যালার্জি উপসর্গ দূরে থাকবে।

পানির সঙ্গে হলুদ- এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ হলুদ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। অ্যালার্জি দূরে রাখতে দিনে কমপক্ষে একবার এই মিশ্রণ পান করতে হবে।

অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে হলুদ- এক টুকরা কাঁচা-হলুদ পিষে পেস্ট বানাতে হবে। এরসঙ্গে যোগ করতে হবে আধা কাপ মধু, এক চা-চামচ লেবুর নির্যাস এবং দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণ এক চামচ করে খেতে হবে।

পরামর্শ
সবসময় ‘অর্গানিক’ হলুদ ব্যবহার করতে হবে।
হলুদের সাধারণত কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকে না। তবে অতিরিক্ত খেলে পেটে গোলমাল, বমিভাব, মাথা ঘোরানো, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় এই ঘরোয়া টোটকাগুলো ব্যবহারে সাবধান হতে হবে।
যাদের ‘গলব্লাডার’য়ের সমস্যা আছে কিংবা রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া জটিলতা আছে তাদের এই পদ্ধতিগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.