Sylhet Today 24 PRINT

ভীত হয়ে হার মানা কাম্য নয়: প্রধানমন্ত্রী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৫ জুন, ২০২০

করোনাভাইরাস সংকটে সারাবিশ্বের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি চাই, আমাদের মানুষের ভেতর যেন একটি আস্থা- বিশ্বাস থাকে। সেই বিশ্বাস-আস্থাটা ধরে রাখতে হবে। কারণ আমরা হার মানবো না। মৃত্যু তো হবেই। মৃত্যু যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো কারণে হতে পারে। কিন্তু তার জন্য ভীত হয়ে হার মানতে হবে এই ধরনের একটা অদৃশ্য শক্তির কাছে, এটা তো কাম্য না। সে জন্য আমাদেরকেও প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

সোমবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিং'র মাধ্যমে এসএসএফের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস এই একটা ভাইরাস যাকে দেখা যাচ্ছে না, অদৃশ্য একটা শক্তি! জানি না আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কী খেলা! সেই অদৃশ্য শক্তির ভয়ে আজকে সারাবিশ্ব স্থবির। সারাবিশ্ব স্তম্ভিত। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মৃত্যু। যদিও রোগের সঙ্গে আরও অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আমাদের দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। সেখানে গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগে মানুষ মারা যায় কিন্তু করোনাভাইরাসের ভয় ভীতি এবং মৃত্যু সমস্ত বিশ্বের তাদের সমস্ত শক্তিকে যেন একেবারে স্থবির করে দিয়েছে। সেই রকম একটা পরিস্থিতিতে আজকে আমরা বসেছি এখানে।

তিনি আরও বলেন, জন্মশতবার্ষিকীতে অনেক অনুষ্ঠান আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করেছি যেখানে লোকসমাগম কম হয় পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠান। কারণ একদিকে মানুষকে বাঁচানো আবার আরেকদিকে মানুষের খাবারের ব্যবস্থা চিকিৎসা ব্যবস্থা; সেগুলো যাতে ঠিক থাকে, চলমান থাকে সেদিকেও আমরা বিশেষ দৃষ্টি রাখছি। সেদিকেও লক্ষ্য রেখে আমরা বিশেষ কর্মসূচি করে যাচ্ছি। তারপরও আমি বলব যে আমি বারবার মানুষের কাছে যাই এই কারণে। আজকে ডিজিটাল পদ্ধতি আছে বলে আমি যেতে পারছি, কথা বলতে পারছি। আমি চাই, আমাদের মানুষের ভিতরে যেন একটা আস্থা থাকে বিশ্বাস থাকে, সেই বিশ্বাস আস্থাটা ধরে রাখতে হবে। কারণ আমরা হার মানব না। মৃত্যু তো হবেই। মৃত্যু যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো কারণে হতে পারে। কিন্তু তার জন্য ভীত হয়ে হার মানতে হবে এই ধরনের একটা অদৃশ্য শক্তির কাছে, এটাতো কাম্য না। সে জন্য আমাদেরকেও প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সেজন্য আমি দেশবাসীকেও বলবো স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যা নির্দেশনা তা মেনে নিজের জীবনকে চালাতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা মানে অপরকেও সুরক্ষিত রাখা। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। সেটা ওই যেন সবাই করে।

এসএসএফ'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সকলের সম্মিলিত একটি সংগঠন যেহেতু সকলের মিলিত একটি সংগঠন এখানে একে অপরকে জানার সুযোগ আছে বোঝার সুযোগ আছে কাজ করার সুযোগ আছে এটা আমি মনে করি চমৎকার একটি কম্বিনেশন।

এসএসএফ সদস্যদের তুমি সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তোমরা তো এখন আমার ছেলে ও নাতির বয়সী। তোমরা যেমন আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করো। আমি তেমন তোমাদের নিরাপত্তার জন্য সব সময় চিন্তা করি। তোমরা সুরক্ষিত থাকো সেটাই আমি চাই। কারণ তোমাদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি। আজ অথবা কাল মৃত্যুর প্রহর গোনার সময় এসে গেছে। কিন্তু তোমাদের তো ভবিষ্যৎ আছে। কাজেই তোমরা নিরাপদ থাকো সেটিই আমার সবসময় চিন্তা। আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি। তোমরা যেভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজ করো।আমাদের পরিবারের সকলের জন্য। আমরা তোমাদের আন্তরিকতায়, কর্মদক্ষতায় সত্যিই মুগ্ধ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে মাওলানা হাফেজ মো. সোলায়মান কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মুজিবুর রহমান।

করোনাভাইরাস সংকটে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এএসএফ'র সদস্যদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সচিব তোফাজ্জল হোসেন ত্রাণ তহবিলের চেক গ্রহণ করেন। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর ফাহাদ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.