Sylhet Today 24 PRINT

সুপারভিশন ঠিক থাকলে একটা পুলিশও উদ্ধত হতে পারে না : রাওয়া

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১০ আগস্ট, ২০২০

পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার পুলিশ সুপারের (এসপি) প্রত্যাহার চেয়েছে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)।

সোমবার নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার উত্তরার বাসভবনে তার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির চেয়ারম্যান মেজর (অব) খন্দকার নুরুল আফসার।

তিনি বলেন, মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে বিচার প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত হয় সেটি আমরা চাই।

মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ সদস্যের অস্ত্র সিজ (জব্দ) করতে হবে। এর পাশাপাশি যাতে এটাই বিচার বহির্ভূত শেষ হত্যাকাণ্ড হয়, আর কোনো মায়ের বুক যাতে খালি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার বলেন, ইতোমধ্যে প্রমাণিত (অলরেডি প্রুভড) পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও তথ্য-প্রমাণে প্রতীয়মান যে, সিনহাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যা যেন আর না হয়।

রাওয়া চেয়ারম্যান বলেন, সিনহার ঘটনায় যারা কাস্টডিতে ছিলেন তাদের জামিন হয়েছে। আমরা অত্যন্ত খুশি, আলহামদুলিল্লাহ। সিনহা হত্যায় যে পুলিশ সদস্যরা জড়িত ছিল তাদের অস্ত্রগুলো যেন জব্দ করা হয়। হয়তো তদন্তের খাতিরে এটা করতেই হবে। যাদের ওপর তদন্তভার অর্পণ করা হয়েছে তারা অত্যন্ত দক্ষ। আমরা আশা করব তারা ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) রক্ষা করবেন। কোনো পক্ষাবলম্বন করবেন না।

তিনি বলেন, সিনহা হত্যার বিচার যদি দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তাহলে হয়তো সিনহা বা সিনহার মতো ভুক্তভোগীর আত্মা শান্তি পাবে।

রাওয়া চেয়ারম্যান বলেন, ১৪০টা মার্ডার করেছে এই ওসি প্রদীপ। আজ দেখেন আমরা সিনহা হত্যার ব্যাপারে সোচ্চার হতে পেরেছি। কিন্তু ওই যে দেখেন ওই সেই লোকগুলোর পরিবার তো মুখ খুলতে পারছে না। তাদের সাথে কোনো সংস্থা নেই, অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সংস্থা নেই। মিডিয়াই পাশে দাঁড়িয়েছে, লিখেছে। আমরা চাই একটা একটা করে সব ঘটনার বিচার করা হোক। এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং যে প্রদীপ করেছে সেগুলোর বিচার হোক।

বিজ্ঞাপন



তিনি বলেন, এটা তো বলার অপেক্ষায় রাখে না, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কারণে যদি বাংলাদেশ ডিস্টার্ব হয়ে যায়! পুলিশ বাহিনী যাতে পুনর্গঠিত করে, পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে যে সিস্টেম দেয়া আছে ডিসির আওতায় সেটা যেন থাকে এবং ডিসির ভিজিট করার কথা, দিকনির্দেশনা বিধিগুলো থাকার কথা সেটা যেন পালন করে। যদি সুপারভিশন ঠিক থাকে তাহলে তখন একটা পুলিশও উদ্ধত হতে পারে না। একটা রঙ কনফিডেন্স গ্রো করেছে, কারণ তার কোনো বিচার হয়নি। সে একটার পর একটা আকাম-কুকাম করে গেছে সেটা নজরে আসেনি। কী কারণে আসেনি, আমরা তা ঠিক বুঝতে পারছি না। আমরা চাই এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটুক, আর কোনো মায়ের বুক খালি না হোক, এসব ঘটনা নিয়ে আর কোনো কথাবার্তা হোক।

খন্দকার নুরুল আফসার বলেন, এ পর্যন্ত সিনহা হত্যা মামলা যেভাবে দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে্, এত দ্রুততার সাথে আর কোনো মামলায় আসামিকে কাস্টডিতে নেয়া, অ্যাকশনে যাওয়া হয়নি। আমরা আশাবাদী, সরকার অত্যন্ত সিরিয়াস এ ব্যাপারে, প্রধানমন্ত্রী, আমাদের সেনাপ্রধান অত্যন্ত সোচ্চার। সেনাবাহিনীও অনুসন্ধান (ইনকোয়ারি) করছে, সর্বক্ষণ মনিটরিং করছে। আমরা রাওয়ার পক্ষ থেকে জুডিশিয়াল ইনভেস্টিগেশন মনিটরিং সেল করেছি, আরেকটা করেছি মিডিয়া মনিটরিং সেল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.