Sylhet Today 24 PRINT

দীর্ঘমেয়াদি বন্যা নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১০ আগস্ট, ২০২০

আগামী ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা হলে সেটা দীর্ঘমেয়াদি হবে, তাই এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কোরবানির ঈদের পর অনুষ্ঠিত প্রথম মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সচিব বলেন, ‘আজকে মন্ত্রীসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আজকে যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের ওখানে অলরেডি বিপদসীমার বেশ নিচে চলে গেছে।’

পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন (অনুমান) আছে যে, আগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি (নির্দিষ্টভাবে) এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন, প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে একটা লং টার্ম (দীর্ঘমেয়াদি) বন্যা... এই যে পানিটা যাচ্ছে এটাও ১৮-২০ দিন হয়ে গেছে। ১৮-২০ দিন পর পানিটা অনেকটা নিচে নেমে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ করে সতর্ক করলেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে এটা প্রিভেইল (দীর্ঘ মেয়াদে থাকার) করার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা ওইখানে রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘এছাড়া আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আছে, একটা প্রজেক্ট আছে সেই প্রজেক্টে তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা আছে। একটা হলো ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলিটেশন করবে। আরেকটা হলো স্থানীয় সরকার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড (অন্তর্ভুক্ত) করা আছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সেই বিষয়ে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম আছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন যে আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করার জন্য। কৃষিমন্ত্রী বলছেন, তারা যে নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন সেটা ১৫ দিন পানির নিচে থাকলে নষ্ট হবে না।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আরেকটি জিনিস প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে। রোপা আমন ঠিকভাবে না হলে আমাদের (সর্টেজ) ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়, গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। সেই তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন আশা বেশি হবে করা যাচ্ছে।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.