Sylhet Today 24 PRINT

প্রথম আলো সম্পাদকসহ ৯ জনের বিচার শুরু

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১২ নভেম্বর, ২০২০

ছবি : নাইমুল আবরার রাহাত (বাঁয়ে), প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান (ডানে)

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ মামলার বাকি ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ৯ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো। এদিকে প্রথম আলোর উপসম্পাদক ও কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হককে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এই মামলায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাকি আসামিরা হলেন— কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামানিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন।

এর আগে মোহাম্মদপুর থনার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম পুলিশ পরিদর্শক এ আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪ (এ) অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হকের আদালতে আবরারের বাবা মামলাটির আবেদন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার অংশ নেয়। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়, তা অরক্ষিত ছিল।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তা ও সাবধানতার প্রয়োজন ছিল, তা নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অবস্থিত হলেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর পর সে তথ্যও দীর্ঘ সময় গোপন রাখা হয় বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। বলা হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পৃষ্ট হওয়ার পর বিকেল ৪টা ৫১ মিনিটে চিকৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ কিশোর আলো ও স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার পরিবার আবরারের মৃত্যুর খবর পান। বিষয়টি পরিকল্পিত, গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার অভিযোগে।

২০১৯ সালের গত ১ নভেম্বর মাসিক ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলোর’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরারের মৃত্যু হয়। সে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম (গ) শ্রেণির (দিবা) শিক্ষার্থী ছিল।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.