Sylhet Today 24 PRINT

‘পুলিশ আমাকে ফাঁসায় দিসে’

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৯ নভেম্বর, ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি মজনু মিয়া রায়ের দিন আদালতে অস্বাভাবিক আচরণ দেখিয়েছেন। বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে ফাঁসায় দিছে’।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহার মজনুর সাজার রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ দিন বিচারকার্যের শুরু থেকেই অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন মজনু।

‘আমাকে ফাঁসায় দিসে। আমার মার কাছে টাকা নাই। আমারে খাইতে দেয় না। আমারে এক বছর অনেক নির্যাতন করছে।

‘আমারে কাশিমপুরে রাখছে। পুলিশ ফাঁসায় দিয়েছে, আমাকে ছাইড়া দেন! আমার হ্যান্ডকাপ খুলে দেন।’

গালিগালাজও শুরু করেন মজনু। একপর্যায়ে পরনে থাকা নীল রঙের গেঞ্জি খুলে ফেলেন। উকিল, জজ, পুলিশকে গালি দেন।

এক পর্যায়ে কক্ষে থাকা সব আইনজীবীকে বের করে দেয় হয়। কারণ মজনু লোকজন দেখলেই বেশি চটে যাচ্ছিলেন।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। পরের দিন তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

ধর্ষণের এই ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

তিন দিন পরই নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ১০ বছর আগে ঢাকায় আসা মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব; জানায় এই ব্যক্তিই ধর্ষণকারী।

এই ধর্ষণ মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হওয়ার পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। ১২ নভেম্বর শেষ হয় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন। পূর্ব নির্ধারিত দিন তারিখ অনুযায়ী রায় ঘোষণা করা হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.