Sylhet Today 24 PRINT

পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার দৃশ্যমান

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ নভেম্বর, ২০২০

পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়েছে। শনিবার বেলা ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর (স্প্যান ১-এ) সফলভাবে বসানো হয়। এর মাধ্যমে সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

সেতুসংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, স্প্যানটি ১৬ নভেম্বর বসানোর পূর্ব–শিডিউল ছিল। তবে নির্ধারিত পিয়ার দুটির একটি ডাঙায়, অপরটি নদীতে ছিল। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করে খুঁটি দুটির মাঝের স্থানটি স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনের চলাচলের উপযোগী করা হয়। এরপর কারিগরি অন্যান্য বিষয় প্রস্তুত করতে আরও কয়েক দিন সময় লেগে যায়। ৩৮তম স্প্যানটি বসানোর ফলে সম্পূর্ণ সেতু দৃশ্যমান হতে আর মাত্র ৩টি স্প্যান বাকি রইল। এ তিনটি স্প্যানও মাওয়া প্রান্তে বসবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর দিয়েই সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে। মাটির গঠনপ্রকৃতি ও গভীরতার তারতম্যের কারণে মাওয়া প্রান্তে বেশ কয়েকটি খুঁটির নকশা জটিলতা দেখা দেয়। এ জন্য সবচেয়ে শুরুর স্প্যান হলেও এর কাজ দেরিতে শুরু হয়। কাজের গতি সচল রাখতে মাওয়া প্রান্ত থেকে না শুরু করে জাজিরা প্রান্ত থেকে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।

৩৭তম স্প্যান বসানোর ১০ দিনের মধ্যে এই স্প্যান বসানো হলো। ১২ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ৩৭তম স্প্যান। ২৭ অথবা ২৮ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারে ৩৯তম স্প্যান (২-ডি) বসানোর কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব কটি স্প্যান বসানো শেষ হবে। ইতি মধ্যে সব কটি স্প্যান মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী ১ হাজার ১৬৫টির বেশি রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৬৪৬টির বেশি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।

৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত এই প্রকল্পের বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ০৩ ভাগ। নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৫ ভাগ। এ বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৭৯৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। সংশোধিত তারিখ অনুসারে ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুর সব ধরনের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.