Sylhet Today 24 PRINT

হাওর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৭ নভেম্বর, ২০২০

পিছিয়ে থাকা হাওরবাসীর জন্য হাওর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে শুক্রবার সকালে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে হাওর বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন আন্দোলন ফোরাম নামে একটি সংগঠন।

চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতো হাওয়ার বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে এর আগে নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন, স্মারকলিপি দেয়াসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হাওর উন্নয়নে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছিলেন। কিন্তু ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকার এক অধ্যাদেশে তা বাতিল করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতর গঠন করেন। যা পানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

কিন্তু পানি মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে হাওরবাসী শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও যাতায়াতসহ নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাওর বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন আন্দোলন ফোরামের সভাপতি ইকবাল হুসেন আটটি দাবি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন।

সেগুলো হল- হাওরের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করার জন্য হিজল, করচ ও নানা প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে এবং মাছ ও পাখির অভয়াশ্রম করতে হবে ও সুরক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশের মোট ধানের ৩৫ শতাংশ এই হাওর অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। কিন্তু সুপরিকল্পনার অভাবে প্রায়ই বাঁধ ভেঙে ধান তলিয়ে যায়। তাই ফাল্গুন মাসের মধ্যে ফসল রক্ষাবাঁধ শেষ করতে হবে। ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার জন্য হাওর এলাকায় এলএসডি গোডাউন স্থাপন করতে হবে এবং সবজি উৎপাদিত এলাকায় ভেজিট্যাবল কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন করতে হবে।

হাওর এলাকায় প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে। এ থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে টেংরাটিলা ও সুনেত্র গ্যাস ফিল্ড এ কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরও গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এলজিইডি এর অব্যবস্থাপনার কারণে অগণিত নিচু ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাট হয়েছে। এর কারণে নৌকা, ড্রেজার নৌকা ও পানি চলাচল করতে পারে না। ফলে বারবার বন্যায় এলাকার রাস্তাঘাট, ফসল ও বাসাবাড়ি ডুবে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তাই সুপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।

যাতায়াতের জন্য উঁচু স্থানে রাস্তা ও নিচু স্থানে উড়ালসেতু নির্মাণ করে টেকসই রাস্তা করতে হবে।

হাওরের অনেক গ্রামে সরকারি প্রাইমারি স্কুল নেই। প্রত্যেক গ্রামে সরকারি প্রাইমারি স্কুল স্থাপন করতে হবে। মাঝেমধ্যে হাইস্কুল ও কলেজ স্থাপন করতে হবে।

স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নে ১০ শয্যার মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে এবং চিকিৎসকেরা যাতে নিয়মিত সেবা দেন তার সুব্যবস্থা করতে হবে।

হাকালুকি, টাঙ্গুয়া ও ডিঙ্গাপোতাসহ বড় বড় হাওরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.