সিলেটটুডে ডেস্ক | ০৩ জানুয়ারী, ২০২১
বরিশালে পুলিশি নির্যাতনে নিহত যুবকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল এ বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিলে শহরজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে দোষীর শাস্তি দাবি করে। এ অবস্থায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটান পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রেজাউলের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। তারা নগরীর রূপাতলী সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় আগুন জ্বালিয়ে ও আসবাবপত্র ফেলে হাজার হাজার মানুষ অবরোধে অংশ নেয়। তাদের এক দাবি উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি। এসময় অবরোধের ফলে দুই প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘজট লেগে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী ও চালকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭টায় অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
অবরোধ চলাকালে রূপাতলী এলাকায় উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিনের বহুতল ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা।
এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোক্তার হোসেন। অন্য দুই সদস্য হলেন এডিসি (ক্রাইম) আকরামুল হোসেন এবং এসি ডিবি নরেশ চন্দ্র কর্মকার।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত রাতে রেজাউল করিম নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়। স্বজনদের দাবি, ২৯ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মাহি তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়ে থানায় অকথ্য নির্যাতন চালায়। সে নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়। নিহত রেজাউল বরিশাল বিএম কলেজে বাংলায় মাস্টার্স এবং বরিশাল ল’ কলেজের ছাত্র।