Sylhet Today 24 PRINT

পুলিশের গাড়ি দেখলে পুড়িয়ে দেওয়ার ‘আহ্বান’ নুরের

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০১ মার্চ, ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি দেখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তা পুড়িয়ে দেওয়ার ‘আহ্বান’ দিয়েছেন সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কোনো ক্যান্টনমেন্ট নয় যে এখানে পুলিশের গাড়ি থাকবে। এরপর পুলিশের গাড়ি দেখলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিন। পুলিশ যদি জিজ্ঞাসা করে, তাহলে বলবেন ডাকসু ভিপি নুর হুকুম দিয়েছেন। হুকুমের আসামি আমি হবো।

সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শাহবাগে মশাল মিছিল থেকে আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থী এবং টিএসসি থেকে আটক তিনজন ছাত্রদল নেতাসহ আটক সব শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ’ এর আয়োজন করে।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- লেখক মুসতাক আহমেদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তসহ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাসে সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণ বাকস্বাধীনতা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা।

পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, যুগ্ম- আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসাইন প্রমুখ।

সমাবেশে পুলিশের সমালোচনা করে ভিপি নুর বলেন, আজ পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। কিন্তু কিছু কিছু পুলিশের ভূমিকা তো আমরা দেখেছি, তারা প্রমোশনের আশায়, সরকারের নজরে আসার জন্য বিভিন্ন খারাপ কাজ করে বেড়াচ্ছেন। তারা ছাত্রদের মারছেন, নারীদের লাঞ্ছনা করছেন, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অমানবিক আচরণ করছেন। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ বর্তমানে সরকারের একটি অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে পদত্যাগ করুন। নতুবা আপনাদের নিয়ে কেউ ‘গাভী বিত্তান্ত-২’ লিখবে। কারণ আহমদ ছফা যে প্রসঙ্গে গাভী বৃত্তান্ত লিখেছিলেন, তার চেয়েও আপনারা জঘন্য কাজ করেছেন।

নুর বলেন, যখন ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, যখন শাহবাগ থানার সামনে তাদের বেদম মারধর করা হয়, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যায় না। এসময় তিনি তাদের প্রতি ‘শিক্ষকসূলভ আচরণ’ করার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে পরিষদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হলের মোড় হয়ে শাহবাগে পৌঁছায়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা পেয়ে মিছিলটি পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.