Sylhet Today 24 PRINT

সেই তুফানের জামিন বাতিল

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৭ মার্চ, ২০২১

বগুড়ার আলোচিত ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ও বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকারের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। জামিন প্রদানের ৫০ দিনের মাথায় রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এ কে এম ফজলুল হক এই আদেশ দেন। পাশাপাশি তুফান সরকারের সহযোগী আতিকুর রহমানেরও জামিন বাতিল করেন আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই বাসায় ডেকে এনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তুফান সরকার। ঘটনার জেরে ২৮ জুলাই তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান এবং তার বড় বোন ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান মেয়েটি এবং তার মাকে বাড়িতে নিয়ে নির্যাতনের পর মা-মেয়ের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেন। ওই বছরের ২৯ জুলাই মেয়েটির মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তুফান সরকারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া নির্যাতন ও মাথার চুল ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তুফান সরকারসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আলাদা ধারায় আরেকটি মামলা করা হয়।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ মুখার্জি বলেন, মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার চলা দুটি মামলার মধ্যে রোববার ধর্ষণ মামলার শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। এদিন মামলার আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তুফান সরকার দুদকের একটি মামলায় বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে। আদালতে তুফান সরকারকে হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ায় জামিন আদেশ বাতিল করেন বিচারক।

এ ছাড়া তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান ওরফে আতিক আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার জামিনও বাতিল করা হয়। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি একই আদালত তুফান সরকারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।

নরেশ মুখার্জি আরও বলেন, মামলার প্রধান সাক্ষী বাদী নিজেই। এ ছাড়া ভুক্তভোগীও মামলার অন্যতম সাক্ষী। মামলার গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। তারা দুজনই উল্টো সাক্ষী দিয়েছেন। আগামী ১ এপ্রিল মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। মা-মেয়েকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার আরেকটি মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে। তবে সেই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন কৌশলে ও অর্থের বিনিময়ে মা ও মেয়েকে উল্টো সাক্ষ্য প্রদানে বাধ্য করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এ কে এম ফজলুল হক। এই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আসামিপক্ষে আবেদন করলে ২৭ ফেব্রুয়ারি সেই আদেশ খারিজ করে আদালত ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বহাল রাখেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.