Sylhet Today 24 PRINT

মহসীন আলীর স্মৃতি রোমন্থনে সংসদে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৮ নভেম্বর, ২০১৫

দশম জাতীয় সংসদের সদস্য প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর স্মৃতি রোমন্থনে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি সৈয়দ মহসীন আলীর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তৃণমূল থেকে ধাপে ধাপে রাজনীতি করে তিনি (মহসিন আলী) এই পর্যায়ে এসেছিলেন। ছাত্রলীগ করেছেন, যুবলীগ করেছেন, এরপর আওয়ামী লীগ করেছেন। তিন তিনবার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন, শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ রকম একজন ত্যাগী মানুষকে আমি মন্ত্রী করেছিলাম। আমি তাকে ভালোভাবেই চিনি। অনেকেই তার কিছু আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তাকে মন্ত্রিসভায় রাখা যায় কি-না, তাও ভেবে দেখতে বলেছিলেন। আমি তাকে বাদ দেইনি। কারণ, তার ওপর আমার আস্থা ছিল।

রোববার (০৮ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে সৈয়দ মহসিন আলীর মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মহসিন আলী গর্বিত ছিলেন। আমি দেখেছি, তার মুখ দিয়ে কখনো কোনো কটূ কথা বের হতো না। অথচ তার একটি কথায় সাংবাদিকরা রেগে গেলেন। কিন্তু যে সাংবাদিকের ওপর তিনি রেগে গেলেন সেই সাংবাদিক কী বলেছিলেন, তা হয়তো কেউ জানেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় যে সাংবাদিকের ওপর তিনি রেগেছিলেন, সেই সাংবাদিক তার পাশে গিয়ে আমাকে নিয়ে টিপ্পনি কেটেছিলেন বলেই তিনি সহ্য করতে পারেননি। তার কথাটিই শুধু সবাই শুনলেন। কিন্তু তাকে যিনি এ মন্তব্য করলেন, তার কথা হয়তো কেউ জানেন না।

মহসিন আলী সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গান গাইতে খুব পছন্দ করতেন। সমসাময়িক ইংরেজি গানগুলো তিনি সংগ্রহ করতেন। মহসিন আলী বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। এই সংসদে তিনি গান গেয়েছেন, আমি আমার চেম্বারে বসে শুনেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মহসিন আলী মুক্তিযুদ্ধে গেছেন, আহত হয়েছেন। তিনি যা উপার্জন করেছেন, তা মানুষকে দু’হাত ভরে দান করেছেন। তিনি স্থানীয় বেশ কিছু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.